বরিশাল বিভাগে ৭ নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে

0

বরিশালের নদ-নদীর পানি আরও বেড়েছে। বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় ৭টি নদীর পানি জোয়ারের সময় বিপৎসীমার ২ থেকে ৯২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অন্যান্য নদীর পানিও বিপৎসীমা ছুই ছুই করে প্রবাহিত হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের বন্যার পানি ভাটির দিকে নামার সময় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারনা করছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা। 

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের হাউড্রোগ্রাফি বিভাগের সব শেষ তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার বরগুনার বেতাগী পয়েন্টে বিষখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। ভোলার দৌলতখান উপজেলায় মেঘনা ও সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার (২.৭৫ মিটার) ৩৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ওই দুই নদীর পানি তজুমদ্দিন উপজেলায় বিপৎসীমার (২.২২ মিটার) ৯২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ভোলা খেয়াঘাট পয়েন্টে তেতুলিয়া নদীর পানি বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, জেলার হিজলা উপজেলার ধর্মগঞ্জ নদীর পানি বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, উমেদপুর পয়েন্টে কঁচা নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে এবং  পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর পানি বিপৎসীমার (১.৪৯ মিটার) ১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। 

বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন জানান, পূর্নিমার জোয়ার এবং উত্তরাঞ্চলের বন্যার প্রভাবে বরিশালে নদীর পানি বেড়েছে। প্রতিদিন দুইবার জোয়ারের সময় অনেক নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করে, আবার ভাটার সময় পানি নেমে যায়। আগামী কয়েকদিনে উত্তরাঞ্চলের পানি বঙ্গোপসাগরে নামার সময় বরিশালে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে বলে ধারনা করছেন তারা। 

এদিকে প্রতিদিন দুইবার জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে চর ও নিম্নাঞ্চল। জোয়ারের সময় ফসলের ক্ষেতেও ঢুকছে পানি। এতে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। তবে পানি দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে ধারনা করছেন বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here