‘কিডনি রোগে আক্রান্তদের প্রায় ৮০ শতাংশেরই মৃত্যু হয়’

0

বাংলাদেশের কিডনি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ বলেছেন, কিডনি রোগে আক্রান্তদের প্রায় ৮০ শতাংশেরই নিশ্চিত মৃত্যু হয়। তাই কিডনি রোগে প্রতিরোধে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই।

মঙ্গলবার রাজধানীর শ্যামলীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির কনপারেন্স রুমে বাংলাদেশ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রতিবছর নতুন করে কিডনি রোগী যোগ হয় এক হাজার জন। এ সংখ্যা মোট আক্রান্তের ২০ থেকে ২৫ শতাংশ। এছাড়া বাকি কিডনি রোগে আক্রান্ত ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ মানুষ ডায়ালাইসিস নিতে পারে না। তার মানে নিশ্চিত মৃত্যু। বাংলাদেশে এতো মানুষকে ডায়ালাইসিস সেবা দেওয়াও সম্ভব না। সবাইকে এ সেবার আওতায় নিতে স্বাস্থ্যসেবায় আরও পাঁচগুণ বেশি বাজেট প্রয়োজন হবে।

বৈঠক থেকে জানানো হয়, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতে এ পর্যন্ত ৩৮টি কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পরবর্তী সময়ে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছে ৩১ টা। এছাড়া চলতি বছরে প্রতিস্থাপন হয়েছে৭ টা।

কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট খরচ বিষয়ে জানতে চাইলে চিকিৎসকরা জানান, কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টের জন্য সর্বমোট এক লাখ টাকা নিয়ে এলে এই প্রতিস্থাপন সম্ভব হয়। এতে কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্টে এক লাখ টাকায় ১৪ দিন পর্যন্ত সেবাটা দিতে পারে হাসপাতাল। অনেক ওষুধের সাপ্লাই না থাকার ফলে কিছু টাকা খরচ বাড়ে। ১৪ দিন পর ওষুধ খরচ বাবদ নতুন খরচ প্রয়োজন হয়ে থাকে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজিতে এখন থেকে প্রতি সপ্তাহে অনন্ত এক থেকে দুইজন রোগীর কিডনি প্রতিস্থাপন করা হবে।

গোল টেবিল বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কিডনি ফাউন্ডেশনের অধ্যাপক ডা. শামিম আহমেদ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. মো. জাকির হোসেন, সহকারী অধ্যাপক ডা. এস এম মীর আনোয়ার, ডা. দিলিপ কুমার রায়, অধ্যাপক ডা. আছিয়া খানম, জাতীয় কিডনি ডিজিজেস অ্যান্ড ইউরোলজির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. বাবরুল আলমসহ রেনাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও অনান্য চিকিৎসকরা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here