‘জাতীয় জরায়ু-মুখ ও স্তন ক্যান্সার নির্ণয় ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র’ একটি পাইলট প্রোগ্রামের মাধ্যমে বাংলাদেশে স্ক্রীনিংয়ের মাধ্যম হিসেবে এইচপিভি পরীক্ষা প্রচলনের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য গবেষণার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে মানিকগঞ্জের সিংগাইর এবং নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলাকে পাইলট এরিয়া হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে।
পাইলট এরিয়াতে বসবাসরত প্রায় ২০,০০০ মহিলা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে PCR পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হবে। বর্তমানে ভায়া নেগেটিভ মহিলাদের পুনরায় ৫ বছর পর স্ক্রীনিং করতে হয়। কিন্তু এইচপিভি নেগেটিভ মহিলাদের ১০ বছরে জরায়ু মুখ ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না।
এছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রসাশন) একেএম নূরুন্নবী কবির, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, যুগ্ম সচিব (গবেষণা ও উন্নয়ন) মো. আব্দুস সালাম খান, অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, প্রো-ভিসি (উন্নয়ন), বিএসএমএমইউ, অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, প্রো-ভিসি (শিক্ষা), বিএসএমএমইউ, ডা. মো. নিজাম উদ্দিন, লাইন ডাইরেক্টর (এমএনসিএন্ডএএইচ), স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ডা. মাখদুমা নার্গিস, সহ-সভাপতি, কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ড উপস্থিত ছিলেন। আরও ছিলেন সম্মানিত অতিথি হিসেবে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টি বোর্ডের জাতীয় সমন্বয়ক শাহানা পারভীন।
উদ্বোধনী কর্মশালায় জরায়ু-মুখ ক্যান্সারের প্রকটতা, এই ক্যান্সার নির্মূলে বর্তমান কার্যক্রমের অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে সংক্ষিপ্ত বিবরণ উপস্থাপন করেন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অধ্যাপক আশরাফুন্নেসা।