রাশিয়ার বেসরকারি সামরিক বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন বলেছেন, তার বাহিনী ইউক্রেনের বাখমুত শহরের পূর্বাঞ্চলীয় অংশের পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। বুধবার ম্যাসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক অডিও বার্তায় তিনি এমন দাবি করেছেন।
ইউক্রেনে বাখমুত শহরের দখল নেওয়ার লড়াইয়ে রাশিয়ার হয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছে ওয়াগনার গ্রুপ। বুধবার প্রিগোজিনের অডিও বার্তায় বলা হয়, বেসরকারি সামরিক কোম্পানির দলগুলো বাখমুতের পূর্বাঞ্চলীয় অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। বাখমুতকা নদীর পূর্ব দিকের সবকিছু পুরোপুরিভাবে ভাগনারের নিয়ন্ত্রণে আছে।
মঙ্গলবার ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, হামলা হওয়ার মতো পরিস্থিতিতে আছে বাখমুত। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের মুখপাত্র সেরহি চেরেভাতি মঙ্গলবার দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বাখমুতে আমাদের সেনাদের প্রধান কাজ হলো শত্রুদের যুদ্ধসক্ষমতা নিরূপণ করা, তাদের যুদ্ধ সক্ষমতা ভেঙে দেওয়া।
এদিকে বুধবার ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ সতর্ক করে বলেছেন, কয়েক মাসের তীব্র লড়াইয়ের পর আগামী দিনগুলোতে বাখমুত রাশিয়ার হাতে চলে যেতে পারে। ইইউ প্রতিরক্ষা মন্ত্রীদের সঙ্গে স্টকহোমে বৈঠকের একফাঁকে সাংবাদিকদের স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আগামী দিনে বাখমুতের পতন হতে পারে। আমরা এই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছি না।’
দোনেতস্ক অঞ্চলে ইউক্রেনের শক্তিশালী অবস্থান ছিল সোলেদার ও বাখমুত শহরে। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগে সোলেদার দখল করে নেয় রুশ বাহিনী। এরপর এখন রুশ সেনাদের লক্ষ্য বাখমুত।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, বাখমুতে ইউক্রেনীয় সেনাদের পালানোর জন্য এখনো একটি সড়ক খোলা রয়েছে। সেটি দখলেই লড়াই চলছে এখন। ওই সড়ক রাশিয়ার দখলে চলে গেলে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়বে শহরটি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সোমবার বাখমুতে অতিরিক্ত সেনা প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ইউক্রেনের কোনো অংশই পরিত্যাগ করা যাবে না।’ সেনাবাহিনীর সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানান। সূত্র: সিএনএন