বাজারে এলো বসুন্ধরার টয়লেট্রিজ পণ্য

0

বর্ণাঢ্য উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এবার যাত্রা শুরু করল বসুন্ধরা টয়লেট্রিজ লিমিটেড।

রবিবার ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) পুষ্পাঞ্জলি হলে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে নতুন এ অভিযাত্রার উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান। এর মাধ্যমে সাবান, ডিসওয়াশ, ডিটারজেন্ট, টুথপেস্ট, এক্সট্রিম প্ল্যান্ট ফাইবার কয়েল, এয়ার ফ্রেশনার, টয়লেট ক্লিনারসহ বিভিন্ন টয়লেট্রিজ পণ্য নিয়ে বাজারে পা রাখল শীর্ষ এ শিল্পগ্রুপটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সাফওয়ান সোবহান বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ সর্বদাই দেশের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশে ২৫-৩০ হাজার কোটি টাকার টয়লেট্রিজ পণ্যের বাজার রয়েছে। এর বড় অংশই বিদেশি কোম্পানির দখলে। কেন আমাদের টাকা বিদেশে চলে যাবে? কেন আমরা নিজেরা এই পণ্য উৎপাদন করতে পারব না? এসব বিষয় মাথায় রেখে আমরা টয়লেট্রিজ পণ্য উৎপাদনের পদক্ষেপ নিয়েছি। এতে এই খাতে হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানও হবে। 

তিনি বলেন, আমরা যখন টিস্যু উৎপাদন শুরু করি, তখন বাংলাদেশে এটা ছিল চ্যালেঞ্জিং পণ্য। সৃষ্টিকর্তার কৃপা, আমাদের দক্ষ কর্মীবাহিনীর আন্তরিক প্রচেষ্টা ও গুণগত মান ধরে রেখে বর্তমানে আমরা দেশের বৃহত্তম টিস্যু উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। ২৫টির বেশি দেশে আমাদের টিস্যু রপ্তানি হচ্ছে। আমরা উৎপাদন শুরু না করলে এই টিস্যু আমদানি হতো, আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশে চলে যেত। এখন রপ্তানির মাধ্যমে উল্টো বৈদেশিক মুদ্রা আসছে। আমাদের টয়লেট্রিজ পণ্যগুলো সাধারণ মানুষের নিত্য দিনের প্রয়োজন মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে এবং পণ্যের গুণগত মান নিশ্চয়তার জন্য আমাদের রয়েছে অত্যাধুনিক মাইক্রোবায়োলজিক্যাল রিসার্চ ল্যাব ও দক্ষ জনশক্তি। 

তিনি বলেন, প্রথমে আমরা কয়েকটি পণ্য নিয়ে বাজারে এসেছি। ক্রমেই টয়লেট্রিজ ইন্ডাস্ট্রির অধিকাংশ পণ্য বাজারে নিয়ে আসব। আমাদের জিডিপির গ্রোথ বাড়ছে। লাইফ স্টাইল উন্নত হচ্ছে। প্রতিযোগিতামূলক দামে উন্নতমানের পণ্য দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য। 

বসুন্ধরার টয়লেট্রিজ পণ্য নিয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ধারাবাহিকভাবে আমরা টুথপেস্ট, মাউথওয়াশ, কসমেটিকস আইটেম, বডি স্প্রে, পারফিউমসহ সব ধরনের টয়লেট্রিজ পণ্য নিয়ে আসব। এগুলোর বাজারও এখন বিদেশি কোম্পানির দখলে। একই সঙ্গে এসব পণ্যের কাঁচামালও দেশে উৎপাদন করব। এ জন্য প্ল্যান্ট স্থাপনের প্রক্রিয়াও শুরু করেছি। কারণ, কাঁচামাল আমদানিতেও পণ্যের দাম বাড়ে। সহনশীল দামে ভালো পণ্য দিতে যা করা দরকার তাই করব। 

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের লক্ষ্য দেশের বাজার, পরবর্তীতে রপ্তানির পরিকল্পনা আছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here