এক মাস শুধু গাছ থেকে হাঁড়িভাঙা আম পেড়ে ১৫ হাজারের বেশি শ্রমিকের জীবন-জীবিকা নির্বাহ করবে। এসব শ্রমিক এক মাস গাছ থেকে হাঁড়িভাঙা আম পেড়ে আয় করবেন ২০ কোটি টাকার ওপর।
হাঁড়িভাঙা যেমন রংপুরের আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়তা করছে সেই সঙ্গে শ্রমজীবী মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার পদাগঞ্জের বেশ কটি বাগান ঘুরে মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা হলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতি মাসে গড়ে ১২ হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক ধরা হলে এসব শ্রমিক এক মাসে ২০ কোটি টাকার বেশি আয় করবেন। এ সময় খেতে-খামারে কাজ না থাকায় গাছের আম পেড়ে স্থানীয় কৃষক ও শ্রমিকরা বাড়তি আয় করছেন।
খোড়াগাছ পশ্চিমপাড়ার আম পাড়া শ্রমিক আবু সাইদ, মোসলেম উদ্দিনসহ কয়েকজন জানালেন, এই সময় খেতে খামারে কাজ থাকে না। বাড়িতে বসে অলস সময় কাটাতে হয়। তাই আমের মৌসুমে এক-দেড় মাস বাগান পাহারা ও গাছ থেকে ফল পেড়ে মাসিক ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা পাচ্ছি। তারা বলেন, তাদের মতো ১৫ হাজারের বেশি শ্রমিক আম পাড়ার কাজ করছেন।
বৈলডোপ গ্রামের আমবাগানের মালিক নজরুল ইসলাম ও মানজারুল ইসলাম বলেন, তাদের নিজের চারটি বাগান রয়েছে। এ ছাড়া আরও চারটি বাগান পত্তন নিয়েছেন। তারা বলেন, এই অঞ্চলে ৩ হাজারে বেশি আমবাগান রয়েছে। একেকটি বাগানে দেড় থেকে দুই শ গাছ রয়েছে। কোনো কোনো বাগানে আরও বেশি গাছ আছে।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, এ বছর রংপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ১ হাজার ৯০০ হেক্টরের বেশি জমিতে আমের আবাদ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৩০ হাজার মেট্রিক টনের ওপর। মৌসুমের শুরুতে ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং শেষ দিকে প্রতি কেজি হাঁড়িভাঙা আম ১৫০ টাকা পর্যন্ত কেজি বিক্রি হয়।