কিছুদিন আগেও রাশিয়ার হয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ সেনাদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছে ভাড়াটে ওয়াগনার সেনাদল। সেই ওয়াগনারের প্রধান শনিবার রুশ সামরিক নেতৃত্বকে উৎখাতের ঘোষণা দিয়েছেন। এরই মধ্যে রাশিয়ার রোস্তভ-অন-দন শহরে ঢুকে সেনা সদর দপ্তর নিয়ন্ত্রণে নেওয়ারও দাবি করেছেন ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন।
রাশিয়ার এই পরিস্থিতিতে মস্কোকে জবাব দিতে সুযোগ হাতছাড়া করেনি ইউক্রেন। প্রেসিডেন্ট ভলোদেমির জেলেনস্কি রাশিয়ার ‘স্পষ্ট দুর্বলতা’ দেখছেন। তিনি বলেছেন, ‘রাশিয়া ধ্বংসের পথ বেছে নিয়েছে। নিজেদের ধ্বংস করতে তারা কুপথ বেছে নিয়েছে।’
নিউজ আওয়ারে বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে আক্রমণ করার আগে বিশ্ব ভেবেছিল বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী সেনাবাহিনী রয়েছে মস্কোর। তিনি বলেন, গতকালও সবাই জানতো, ইউক্রেনে রাশিয়া দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শক্তিশালী সেনাবাহিনী। আর আজ আমরা দেখছি, পুতিনের সেনাবাহিনী তার দেশে (রাশিয়ায়) দ্বিতীয় শক্তিশালী বাহিনীতে পরিণত হচ্ছে।
ইউরি স্যাক মনে করেন, রাশিয়ায় যা শুরু হচ্ছে তা খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। ইউক্রেনে সেনা হারানোর বিষয়ে ক্রেমলিন দীর্ঘদিন ধরে মিথ্যা বলছে। খুব শিগগির কিংবা দেরিতে রাশিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে। তিনি বলেন, ‘আমরা রাশিয়ায় গৃহযুদ্ধ দেখছি।’