রাজশাহীর বাঘায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি শিমুল হোসেন (৩০)-কে গ্রেফতার করেছে র্যাব। তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে যৌথ অভিযানে বৃহস্পতিবার সকালে মানিকগঞ্জের বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, শিমুল হোসেন উপজেলার পদ্মার চরাঞ্চলের পলাশিফতেপুর গ্রামের মোজাম হোসেনের ছেলে। মামলার অপর দুই আসামি- একই এলাকার আব্দুর রহিমের ছেলে পারভেজ আলী (২৩) ও আসলাম ব্যাপারির ছেলে রকি আহমেদ (১৮) পলাতক আছে।
ওইদিন স্কুলে না যাওয়ার কারণে ছাত্রীকে বকাঝকা করেন তার চাচা সাইদুর রহমান। এরপর সে বাড়ি থেকে বের হয়ে চকরাজাপুর বাজারে যাচ্ছিল। অপরদিক থেকে মোটরসাইকেলে আসছিল ওই তিনজন। তারা ফাঁকা রাস্তায় ছাত্রীকে একা পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে উদপুর গ্রামের আমিনের খাপালের পাশের পাট ক্ষেতে নিয়ে যায়। সেখানে শিমুল হোসেন হোসেন ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। পারভেজ আলী ও রকি আহমেদ পাহারা দেয়। ঘটনার পর আত্মগোপনে চলে যায় তারা।
১৩ জুন রাতে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার পরের দিন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করে শারীরিক পরীক্ষা করানো হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় , ছাত্রীর মা সৌদি প্রবাসী। পিতা ঢাকায় রিকশা চালান। ওই ছাত্রী ও তার ছোট ভাই দাদার কাছে থেকে লেখাপড়া করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক কামরুজ্জামান জানান, গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্রীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে শিমুল হোসেন। বিষয়টি নিয়ে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানান তিনি।