স্বামীকে বেঁধে স্ত্রীকে গণধর্ষণ; ২ ধর্ষককে পুলিশে দিল মা-বাবা

0

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে স্বামীর সঙ্গে ঘুরতে গিয়ে গণধর্ষণের ঘটনার ৬ দিন পর ২ ধর্ষককে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে তাদের মা-বাবা। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে অভিযুক্তদের পরিবার থেকে পুলিশকে খবর দিলে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের মৌলভী বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। 

গত রবিবার এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে ভুক্তভোগীর স্বামী মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত বুধবার (১৪  জুন) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পর্যটন এলাকা মুছাপুর স্লুইচ গেইটের পূর্ব পার্শ্বের বাগানে এই ঘটনা ঘটে।  

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার ১৪ জুন বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নববধূ (১৮) তার স্বামীর সাথে নোয়াখালীর সদর উপজেলা থেকে মোটরসাইকেলযোগে কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর স্লুইচ গেইট এলাকায় ঘুরতে আসে। স্লুইচ গেইট পার হয়ে পূর্বদিকে বাগানের পাশে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছবি তোলার সময় আসামি জাহাঙ্গীর, রিয়াদ ও জালাল উদ্দিন হাতে ছুরি ও লাঠিসোটা নিয়া ঘটনাস্থলে ভিকটিম ও তার স্বামীকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দিতে থাকে। একপর্যায়ে তিন আসামি ভিকটিমের স্বামীকে গাছের সঙ্গে গামছা দিয়ে বেঁধে তার স্ত্রীকে বাগানে নিয়ে গণধর্ষণ করে। অপর আসামি জালাল উদ্দিন তখন ভিকটিমের স্বামীকে পাহারা দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের কতিপয় নেতাদের ছত্রছায়ায় মুছাপুর ক্লোজার এলাকায় স্থানীয় জলদস্যু বাহিনী বালু উত্তোলন, খাস জায়গা দখল, ঘুরতে যাওয়া নারীদের ধর্ষণের ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। তবে স্থানীয় প্রশাসনের ব্যর্থতায় এগুলো কোন ভাবেই বন্ধ হচ্ছে না।  এর আগেও একাধিক নারী মুছারপুর ক্লোজারে ধর্ষণের শিকার হয় বলে জানা যায়। তবে মান সম্মানের ভয়ে কেউ এসব ঘটনায় মুখ খুলতে চায় না।  

মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো.আইয়ুব আলী বলেন, দুই ধর্ষককে তাদের পরিবারের সদস্যরা আটক করে। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য সেলিমের উপস্থিতিতে আসামিদের পরিবারের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।  

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here