অভিনব কায়দায় মোটরসাইকেল চুরি এবং চুরির পর বডি কিট ও রং পরিবর্তন করে ক্রয়-বিক্রয়কারী চোর চক্রের ০৪ সদস্য গ্রেফতার। মোটরসাইকেলের বডি কিট,কাটা লক, নাম্বার প্লেটসহ মোটর সাইকেল খোলার সরঞ্জাম উদ্ধার।
গত ইং ১৩/০২/২০২৩ খ্রিঃ সকাল অনুমান ১০.৩০ ঘটিকার সময় বাসন থানাধীন চান্দনা চৌরাস্তা শাপলা ম্যানশনের সামনে থেকে একটি Yamaha R15 মোটরসাইকেল চুরি হয়। উক্ত চুরির ঘটনায় বাসন থানায় একটি চুরির মামলা রুজু হয়। মামলা রুজু হওয়ার পর বাসন থানার একটি টিম তথ্য প্রযুক্তি ও স্থানীয়দের সহায়তায় ইং ০৫/০৩/২০২৩ তারিখ মোটর সাইকেল চোর নুরু মিয়া (৩৬),পিতা-সুলতান মিয়া, সাং-টেংগুরিয়া, থানা-নিকলি, জেলা-কিশোরগঞ্জ কে গ্রেফতার করে। উক্ত আসামীকে ০৭ (সাত) দিনের রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করলে বিজ্ঞ আদালত ০২ (দুই) দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। উক্ত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদকালে সে জানায় গত ০৩ (তিন) বছর যাবৎ মোটর সাইকেল চুরির সাথে জড়িত আছে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামী আরও জানায় সে অত্র মামলার ঘটনার মোটরসাইকেল ছাড়াও শহিদ তাজ উদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতাল, গাজীপুর হতে ০১ (এক) টি Yamaha Fazer পূবাইল থেকে ০১ (এক) টি Hero Splendar, টাঙ্গাইল হতে Discover , উত্তরা থেকে ০১ (এক) টি Discover মোটরসাইকেল চুরি করেছে। ধৃত আসামী মোটরসাইকেল চুরির পর চোরাই মোটর সাইকেল ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার কসবা থানার জনৈক মুসার কাছে বিক্রয় করে থাকে। অদ্য ০৭/০৩/২০২৩ তারিখ ভোর ০৪.৩০ ঘটিকার সময় আসামী নুরু মিয়াকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার কসবা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে, মুসার বাসা হতে ০৫ (পাঁচ) টি চোরাই মোটরসাইকেলের ডিজিটাল নাম্বার প্লেট, মোটর সাইকেলের ০৮ টি ভাঙ্গা লক, Yamaha R15 মোটর সাইকেল এর সামনে অংশের কিট, বিভিন্ন মোটর সাইকেলের যন্ত্রাংশ, মোটরসাইকেল খোলার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি উদ্ধার করিয়া মুসা মিয়া সহ তার আরও ০২ (দুই) সহযোগীকে গ্রেফতার করা হয়। এই চক্রটি দীর্ঘ দিন যাবৎ বিভিন্ন এলাকা হতে চোরাই মোটরসাইকেল ৩০ হাজার টাকা হতে ৫০ হাজার টাকায় ক্রয় করে বডি কিট রং পরিবর্তন করে নাম্বার প্লেট ছাড়াই বিক্রয় করে আসছিল।
গ্রেফতারকৃত মোটরসাইকেল চোর চক্রের সদস্যদের নাম ও ঠিকানা :-
১। নুরু মিয়া (৩৬),পিতা-সুলতান মিয়া,মাতা-আছিরন,সাং-টেংগুরিয়া, থানা-নিকলি, জেলা-কিশোরগঞ্জ,বর্তমান সাং-পারিজাত কেভি রোড, থানা-জয়দেবপুর,জেলা-গাজীপুর।
২। মোঃ মুসা মিয়া (২৮),পিতা-সাইদ মিয়া, মাতা-মোসাঃ হনুফা বেগম, সাং-পনিআউট, থানা-সদর, জেলা-ব্রাহ্মনবাড়ীয়া, বর্তমান সাং-গোপিনাথপুর,থানা-কসবা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়ীয়া।
৩। মোঃ শাহ আলম (৩৮),পিতা-মোঃ হারুন মিয়া শেখ, মাতা-মোসাঃ আনোয়ারা বেগম, সাং-খরুমপুর টানপাড়া, থানা-আখাউড়া, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, বর্তমান সাং-গোপিনাথপুর,থানা-কসবা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়ীয়া।
৪। মোঃ আরিফ (১৮),পিতা-খোকন মিয়া, মাতা-মোসাঃ আমেনা বেগম ,সাং- গোপিনাথপুর, থানা-কসবা,জেলা-ব্রাহ্মণবাড়ীয়া।
মাননীয় পুলিশ কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশক্রমে চোরাই মোটর সাইকেল উদ্ধারের অভিযান অব্যাহত আছে।