রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার কাফ্রিখাল গ্রামের চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার রায়ের ১৩ বছর পর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত শহিদুল ইসলামকে (৩৬) গ্রেফতার করেছে র্যাব-১৩।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-১৩ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মোর্ত্তূজা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান।
র্যাব জানায়, ২০০৩ সালের ১৪ অক্টোবর মোঃ শহিদুল ইসলাম ঢাকা সদরঘাট এলাকার এক কাপড় ব্যবসায়ীর বাসায় দারোয়ানের চাকরি করা অবস্থায় একই বাসায় ভিকটিমকে কাজের কথা বলে নিয়ে যায়। বাসার সকলের অগোচরে ওই নারীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। রাজি না হলে কৌশলে একাধিকবার ধর্ষণ করলে ওই নারী অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। বাসার মালিক বিষটি জানতে পারলে ওই নারী ও মোঃ শহিদুল ইসলামকে বাসা থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে তার পিতা বিষয়টি জানতে পারলে গর্ভবতী মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে এসে স্থানীয়ভাবে শালিসের মাধ্যমে আসামির সাথে ভিকটিমের বিবাহের উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু স্থানীয় কতিপয় কুচক্রী মহলের হস্তক্ষেপে শালিস ব্যর্থ হলে ওই নারী বাদী হয়ে রংপুর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন। আদালত ২০১০ সালে ১৭ এপ্রিল আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১০ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন। আসামি মোঃ শহিদুল ইসলাম আদালতের রায়ের পর থেকেই দীর্ঘ ১৩ বছর থেকে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাতে রংপুর নগরীর তাজহাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে শহিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি স্বীকার করে যে, ভিকটিমকে একাধিকবার ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। মিঠাপুকুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।