দলীয় প্রতিপক্ষের হামলায় বাগেরহাট পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক শেখ আনারুল ইসলাম আনা নিহতের ঘটনায় দুই ঘাতককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার ভোরে অভিযান চালিয়ে ‘কিলিং মিশনে’ অংশ নেয়া কালাম বয়াতি (৪৫) ও আবু বক্কর সিদ্দিকী নিভাসকে (৩০) গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত কালাম বয়াতি বাগেরহাট নাগেরবাজার এলাকার কাশেম বয়াতি ও আবু বক্কর সিদ্দিকী নিভাস দড়াটানা এলাকার আলী আকবরের ছেলে।
শনিবার দুপুরে পিরোজপুর-বাগেরহাট মহাসড়কে শহরতলীর চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রর সামনের চিংড়ি ঘেরে বাগেরহাট পৌর যুবলীগের সদস্য সোহেল হাওলাদার ওরফে কালা সোহেলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আনারুল ইসলাম আনাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। নিহত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ আনা বাগেরহাট পৌর শহরের বাসাবাটি এলাকার আব্দুল গনি শেখের ছেলে।
আওয়ামী লীগ নেতা নিহত শেখ আনার দাফন শেষে সোমবার ভোরে তার স্ত্রী মাফুজা বেগম বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় পৌর যুবলীগের সদস্য সোহেল হাওলাদার ওরফে কালা সোহেলকে প্রধান করে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ১৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৬ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে বাগেরহাট শহর থেকে আওয়ামী লীগ নেতার কিলিং মিশনের অংশ নেওয়া তিন নম্বর আসামি কালাম বয়াতি ও ১০ নম্বর আসামি আবু বক্কর সিদ্দিকী নিভাসকে গ্রেফতার করে।
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আজিজুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগ নেতা আনারুল ইসলাম ওরফে আনা নিহতের ঘটনায় তার স্ত্রী মাফুজা বেগম বাদী হয়ে সোমবার ভোর রাতে মামলা দায়ের করেন। এর পরপরই পুলিশ দ্রুত অভিযান চালিয়ে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। কালা সোহেলসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে বলেও জানান ওসি।