উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও কয়েকদিন থেকে টানা থেমে থেমে আসা বৃষ্টিতে বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। রবিবার (১৮ জুন) সকাল ছয়টা ও নয়টায় ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২৩ সে.মি. নিচে দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে ভাটি এলাকায় বাড়ছে পানির চাপ। প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল। কিছু এলাকায় দেখা দিয়েছে ভাঙন।
কয়েকদিনের টানা থেমে থেমে বৃষ্টিতে ও উজানের ভারতীয় এলাকা থেকে আসা ঢলের পানিতে ধু ধু বালুচর এলাকা নিমিষেই পানিতে টইটম্বুর হয়ে পড়েছে। এতে তিস্তার চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বাদাম, পাট ও মৌসুমী ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে নদী এলাকায় বন্যার আগাম প্রস্তুতি থাকায় ক্ষতির পরিমাণ তেমন হয়নি।
গোবর্ধন এলাকার কৃষক রহিম মিয়া বলেন, কয়দিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। কালকেও পানি বাড়ছিলো। আজকে আবারও বাড়তেছে। আমাদের বাদাম ক্ষেত, পাটক্ষেত ডুবে গেছে।
আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গোলাম সারোয়ার বলেন, তিস্তায় পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে নিচু এলাকায় পানি ঢুকছে। আমরা স্ব স্ব ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে সবশেষ খবর রাখতে বলেছি। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে সহায়তা দেওয়া হবে। জরুরি যেকোন পরিস্থিতি মোকাবিলায় সজাগ রয়েছি।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে তিস্তার বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। মহিষখোচা এলাকায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যায়ে বেরিবাধ করা হয়েছে। এছাড়াও ভাঙন প্রবন এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।