তিন শিশুপুত্রকে লাইনে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যা, অতঃপর…

0

ঘটনাটি ঘটেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার দেশটির ওহায়ো অঙ্গরাজ্যের মনরো টাউনশিপে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটে। হত্যার শিকার শিশুদের বয়স তিন, চার ও সাত বছর।

জানা গেছে, চ্যাড ডুয়ারম্যান নামের মার্কিন যুবক বেশ কয়েক মাস ধরেই তিন শিশুপুত্রকে হত্যার ছক কষছিলেন। অবশেষে বৃহস্পতিবার তিনি এই হত্যাকাণ্ড ঘটান। এ সময় সন্তানদের বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিযুক্তের স্ত্রী । যদিও এই হামলায় দম্পতির মেয়ে আহত কি না, তা জানায়নি পুলিশ।

ক্লারমন্ট কাউন্টি শেরিফের অফিসের পক্ষ থেকে শুক্রবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে পুলিশে খবর দেন অভিযুক্তের স্ত্রী। ঘটনাস্থলে পৌঁছে চ্যাডের বাড়ি থেকে দম্পতির তিন, চার এবং সাত বছরের পুত্রের মরদেহ পাওয়া যায়। এই ঘটনার নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আদালতে শুনানিতে পুলিশের দাবি, নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন চ্যাড। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দুপুরে সন্তানদের খুনের জন্য তাদের এক লাইনে দাঁড় করিয়েছিলেন তিনি। এরপর একে একে তিন শিশুপুত্রের দিকে রাইফেল তাক করে গুলি করতে থাকেন। আতঙ্কে চ্যাডের এক পুত্র পালানোর চেষ্টা করে। তবে তার পিছুধাওয়া করে বাড়িতে টেনে এনে তাকেও গুলি করে হত্যা করেন চ্যাড। তাকে বাধা দিলে স্ত্রীর হাতেও গুলি করেন অভিযুক্ত। আতঙ্কে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দম্পতির মেয়ে চিৎকার করতে থাকে, ‘‘সবাইকে মেরে ফেলছে বাবা!’’ নাবালিকার চিৎকারে পুলিশে খবর দেন এক ব্যক্তি।

ওহায়ো পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ অভিযুক্তের স্ত্রী এবং ওই ব্যক্তির থেকে খবর পেয়ে চ্যাডের বাড়িতে পৌঁছান তারা। আদালতে শুনানির সময় ক্লারমন্ট কাউন্টির সরকারি কৌঁসুলির মার্ক টেকুল্‌ভের দাবি, “এ রকম ঘৃণ্য অপরাধের কথা কখনও শুনিনি।”

তদন্তকারীদের দাবি, আকস্মিকভাবে নয়, সন্তানদের খুনের জন্য বেশ কয়েক মাস আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন চ্যাড। সূত্র: এপি, নিউ ইয়র্ক পোস্ট, এনবিসি নিউজ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here