আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ। ষড়ঋতুর দেশে দ্বিতীয় ঋতু বর্ষার শুরু। অন্য বছর আষাঢ় শুরুর আগেই বৃষ্টি শুরু হয়। তবে এ বছর বৃষ্টির দেখা খুব একটা পাওয়া যায়নি।
বর্ষা নিয়ে কবি-সাহিত্যিকরা লিখেছেন অগুনতি কবিতা-গান। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বর্ষার প্রতি ভালোবাসায় লিখেছেন, ‘আজি ঝরো ঝরো বাদল দিনে।’ বর্ষার আগমনে গাছে গাছে শোভাবর্ধন করে কদমফুল। মেঘের গুড়ুম গুড়ুম গর্জনে ময়ূর নাচে পেখম তুলে। আষাঢ় ও শ্রাবণ দুই মাস বর্ষাকাল। যা আমাদের জন্য অপরিহার্য এক ঋতু। অনুর্বর মাটি বর্ষা এসে উর্বর করে। নদী, মাঠ, ঘাটের দেশ বর্ষায় ভরে ওঠে সবুজে-শ্যামলে। স্নিগ্ধ করে তোলে মন।
শহরের একঘেয়ে যান্ত্রিক জীবনে বর্ষা কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলে। বৃষ্টি শহরের ধুলোবালিকে বশ করে। আষাঢ়ের প্রথম দিনে আমরা সবাই ওই চাতকচাতকীর মতো উষ্ণ হৃদয় লয়ে দাঁড়ায়ে আছি, বরিষ ধরা মাঝে শান্তির বারি স্বাগত জানানোর অপেক্ষায়।
বর্ষা বরণে আজ রাজধানীজুড়ে থাকছে নানা অনুষ্ঠান। বাংলা একাডেমিতে থাকছে উদীচীর আয়োজন, গেন্ডারিয়ার মিল ব্যারাকে জাতীয় বর্ষা উদযাপন পরিষদের অনুষ্ঠান। শিল্পকলা একাডেমি ও ছায়ানটেও হবে বর্ষা উদযাপন।