এক বছরের বেশি সময় ধরে জ্বলছে ইউক্রেন। রাশিয়ার আগ্রাসন আর ইউক্রেনীয়দের প্রতিরোধ- সবমিলিয়ে অস্থিরতা দেশটির চারদিকে। এই যুদ্ধের দামও সাধারণ মানুষ ও সেনাদের চুকাতে হচ্ছে নানাভাবে।
ঘটনাটা ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের। খেরসনে তখন যুদ্ধ করছিলেন ইউক্রেনের সেনা ইলিয়া পিলিপেঙ্কো। তবে হঠাতই তাকে যুদ্ধক্ষেত্র ছাড়তে হয়।
ইলিয়ার ভাষায়, ‘কী করা উচিত ভেবে পাচ্ছিলাম না।’ ‘এরপরও আপনাকে কিছু একটা করতে হবে, কারণ আপনি বাঁচতে চান।’
অবশ্য ভাগ্যগুণে ইলিয়া এ যাত্রা বেঁচে যান। তার সহকারীরা তাকে সেই আগুন থেকে উদ্ধার করেন। এরপর তাকে যেতে হয়েছে বেশ কয়েকটি অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে। পোড়া জায়গার চামড়াও প্রতিস্থাপন করতে হয়েছে। আর তার ডান পা বিস্ফোরণে উড়ে গেছে।
ছয় মাস পরও ইলিয়া সেই ভোগান্তি বয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘আমার ভেতরে দুটোই কাজ করছে, একদিকে আমি হতাশ অন্যদিকে আশাবাদী।’ ‘আমার চিকিৎসার কঠিন সময়টা পেছনে ফেলেছি। এবার আমি স্বপ্ন দেখছি যে, দ্রুতই হাঁটতে পারবো।’
তবে এখানেই শেষ দেখছেন না ইলিয়া। তিনি আবারও নতুন করে শুরু করতে চান।
লিভিভের হাসপাতালে এমন আরও ২৪৪ জন ইউক্রেনীয় সেনা ও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা চলছে। তারা শরীরের ক্ষত নিয়েই ধীরে ধীরে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার চেষ্টা করছেন।