বগুড়ার পথে পথে লাল রঙের কৃষ্ণচূড়ার সৌন্দর্য্য ছড়িয়ে পড়েছে। পথচারিদের দৃষ্টি কাড়ছে কৃষ্ণচূড়া। দূর থেকে দেখলে মনে হবে যেন লাল রঙের পাহাড় দাঁড়িয়ে আছে মাথা উচুঁ করে। কৃষ্ণচূড়া তার রক্তিম আভা ছড়ানোর মাধ্যমে প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলেছে অপরুপ করে।
জানা যায়, বগুড়ায় একসময় কৃষ্ণচূড়া ও জারুল ফুল গাছ প্রচুর দেখা যেত। প্রতিবছর এই গ্রীস্মে ফুলফুটে প্রকৃতিতে শোভা বর্ধন করতো। কালে কালে এই কৃষ্ণচূড়া ও জারুল এখন অনেক কমে গেছে। তারপরও বগুড়া শহরের সাতমাথা, আজিজুল হক কলেজ ক্যাম্পাস, ফুলবাড়ি, কলোনী, বনানী, মালতীনগর, চেলোপাড়া, সেউজগাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় কৃষ্ণচূড়া শোভা পাচ্ছে।
বগুড়া শহরের রবিউল ইসলাম জানান, বগুড়া শহরের বিভিন্ন সড়কে এখন কৃষ্ণচূড়া ফুটে আছে। প্রকৃতিতে এখন ভিন্ন রঙ ধরেছে। দূর থেকে দেখতে ঠিক লাল পাহাড়ের মত মনে হয়। অপরূপ শোভায় শোভিত হয়েছে কৃষ্ণচূড়া। যে কাউকে আকৃষ্ট করছে সড়কগুলো। কৃষ্ণচূড়া যদি আরো বেশি গাছ থাকতো তাহলে এই এলাকাটি একসময় পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে উঠতো।
বগুড়ার কবি জয়ন্ত দেব জানান, প্রকৃতিতে এখন মনোমুগ্ধকর রঙ ছড়িয়ে দিয়েছে কৃষ্ণচূড়া। বগুড়ায় একসময় প্রচুর পরিমাণে কৃষ্ণচূড়া দেখা যেত। গ্রীষ্মকালে কৃষ্ণচূড়া প্রকৃতিকে সাজিয়ে তুলতো। কালক্রমে বগুড়ায় আবাসন ব্যবস্থার কারণে অনেক গাছ কাটা পড়েছে। যে কারণে কৃষ্ণচূড়ার সংখ্যা কমে যাচ্ছে। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় বগুড়ায় আরো বেশি করে কৃষ্ণচূড়া রোপণের অভিযান পরিচালনা করতে হবে। ফুল মানুষকে মুগ্ধ করে থাকে। কৃষ্ণচূড়াও মুগ্ধতা নিয়ে ফুটে আছে। দেখতে মনজুড়িয়ে যায়। এই শহরে অনেক মানুষ ভিড় করে কৃষ্ণচূড়া দেখতে। যেন কতশত বছর পরে নতুন করে প্রকৃতি দেখছে।
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিঠু চন্দ্র অধিকারী জানান, কৃষ্ণচূড়া এবং জারুল অতিপরিচিত বৃক্ষ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যত্রতত্র এসব বৃক্ষ জন্মালেও সান্তাহারে সবচেয়ে বেশি দেখা মিলছে কৃষ্ণচূড়ার। এসব গাছের যত্ন নেওয়া হলে গ্রীষ্মকালে প্রকৃতির সৌন্দর্য আরো বাড়বে।