বরগুনায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগ। গবাদিপশুর শরীর, মুখমণ্ডল থেকে পা পর্যন্ত গোটা গোটা হয়ে ছড়িয়ে যাচ্ছে। তাপমাত্রা ১০৪-১০৬ ডিগ্রী পর্যন্ত উঠছে। প্রাথমিক অবস্থায় রোগের ব্যাপারে খামারি বা গৃহস্থরা ধারণা করতে না পারায় নিরাময়ের উদ্যোগ নেওয়া সম্ভব হয়ে ওঠেনি।
ঈদুল আজহার আগে ছোঁয়াচে এই ভাইরাস রোগ ছড়িয়ে পড়ায় গৃহস্থ ও খামারিদের চোখেমুখে কষ্ট আর দুশ্চিন্তার ছাপ। বরগুনার একাধিক গৃহস্থ বাড়ি আর খামার ঘুরে দেখা গেছে এমন কোনও বাড়ি বা খামার নেই যে লাম্পি স্কিন রোগাক্রান্ত গবাদিপশু নেই। বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বাছুর। বরগুনা সদর ইউনিয়নের কলাতলা গ্রামের রফিক মোল্লা বলেন, তার একটি বাছুর ৭-৮ দিন ধরে আক্রান্ত। প্রাণী সম্পদ অফিস থেকে ভ্যাক্সিন সহ ঔষধ দিয়েছে কোন অগ্রগতি নেই।
এদিকে, খামারি এবং কয়েকজন গৃহস্থ অভিযোগ করেছেন, বেতাগী উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা আশরাফ হোসেন বিষয়টি নিয়ে উদাসীন ভাব দেখাচ্ছেন। অনেকের সাথে উগ্র আচরণও করছেন। এমনকি সাংবাদিকরা লাম্পিং স্কিন বিষয় তথ্য জানতে চাইলে তিনি ব্যস্ত আছেন বা তথ্য দিতে বাধ্য নন বলে মন্তব্য করেন।