অল্পের জন্য ইউক্রেনের বিপক্ষে হারের মুখ থেকে রক্ষা পেল জার্মানি

0

সোমবার একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে মুখোমুখি হয়। জার্মানির ব্রেমেনে অনুষ্ঠিত হয় ম্যাচটি। ঘরের মাঠে অল্পের জন্য বিব্রতকর এক পরাজয় থেকে রক্ষা পেয়েছে জার্মানি। ম্যাচটি ৩-৩ গোলে ড্র হয়েছে।

যদিও শুরুতে এগিয়ে গিয়েছিল জার্মানি। তবে পরে তারা ছন্দ হারায়। স্মরণীয় এক জয়ের আশা জাগায় ইউক্রেন। কিন্তু শেষে গিয়ে তারাও তালগোল পাকিয়ে ফেলল। অবশেষে ম্যাচ শেষ হয় সমতায়।

এই ম্যাচ দিয়ে ইউক্রেনের কোচ হিসেবে পথচলা শুরু হল দেশটির সাবেক স্ট্রাইকার সের্হি রেব্রোভের।

এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে জয়হীন থাকল জার্মানি। টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেওয়ার পর গত মার্চে পেরুকে ২-০ গোলে হারিয়ে পরের ম্যাচে বেলজিয়ামের বিপক্ষে ৩-২ গোলে হেরে যায় হান্স ফ্লিকের দল।

ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটে প্রতিপক্ষের উপহার পেয়েও সুযোগ নষ্ট করেন নিকলাস ফুয়েলখুগ। ইউক্রেনের এক ডিফেন্ডার নিজেদের বক্সে বল তুলে দেন জার্মান ফরোয়ার্ডের পায়ে, তবে ওয়ান-অন-ওয়ানে বাইরে মারেন ৩০ বছর বয়সী ফুয়েলখুগ।

গোলের জন্য অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হয়নি স্বাগতিকদের। ষষ্ঠ মিনিটে বক্সের ভেতর থেকে মারিয়াস উলফের শটে বল ফুয়েলখুগের পায়ে লেগে জালে জড়ায়।

অষ্টাদশ মিনিটে সমতা ফেরায় ইউক্রেন। সতীর্থের পাস ধরে বক্সে ঢুকে ডান পায়ের শটে দূরের পোস্ট দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন ভিক্তর শিয়ানকভ। লাইন্সম্যান শুরুতে অফসাইডের পতাকা তুললেও ভিএআরে গোলের বাঁশি বাজান রেফারি।

চার মিনিট পর জার্মান দর্শকদের স্তব্ধ করে দেয় সফরকারীরা। আন্টোনিও রুডিগারের আত্মঘাতী গোলে এগিয়ে যায় তারা। বক্সের ভেতর ইউক্রেনের মিডফিল্ডার মাদ্রিকের দুর্বল শট রিয়াল মাদ্রিদ ডিফেন্ডারের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়।

বিরতির আগে সমতায় ফিরতে পারত জার্মানি। অনেকটা দূর থেকে লেরয় সানের ফ্রি-কিক ক্রসবার কাঁপিয়ে ফেরে।

৫৬তম মিনিটে নিজেদের মারাত্মক ভুলে জার্মানির ঘুরে দাঁড়ানোর পথ আরও কঠিন হয়ে যায়। সতীর্থের ব্যাক-পাস বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিতে ব্যর্থ হন মাথিয়াস গিন্টার। তার থেকে বল দখলে নিয়ে আর্তেম দভবিক পাস দেন পাশেই থাকা শিয়ানকভকে। গোলরক্ষক সামনে এগিয়ে যাওয়ায় ফাঁকা জালে বল পাঠান জিরোনার ২৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।

৮৩তম মিনিটে ব্যবধান কমান দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নামা কাই হাভার্টজ। রুডিগারের উঁচু করে বাড়ানো বল হেডে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিখুঁত শটে জালে পাঠান তিনি।

পরের গোলেও অবদান আছে হাভার্টজের। নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতে পেনাল্টি আদায় করে নেন তিনি। তাকে ফাউল করেন ইউক্রেনের ডিফেন্ডার এদুয়ার্দ সোবল। সফল স্পট কিকে সমতা টানেন জসুয়া কিমিখ। ফলে স্মরণীয় জয় থেকে বঞ্চিত হয় ইউক্রেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here