মঞ্চ নাটকের মাধ্যমে তুলে ধরা হবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের গল্প। স্বাধীনতার মাসে আগামী ৯ ও ১০ মার্চ ঢাকা শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় নাট্যশালায় প্রথমবারের মতো পূর্ণাঙ্গভাবে মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটক ‘নৈঃশব্দ্যে ’৭১’। বাংলাদেশের আটটি বিভাগীয় শহরের ১৫ জন প্রতিবন্ধী শিল্পীর অংশগ্রহণে হতে যাওয়া এ নাটকের মঞ্চায়ন করছে ব্রিটিশ কাউন্সিল ও ঢাকা থিয়েটার।
নৈঃশব্দ্যে ’৭১ একটা সংলাপবিহীন নাটক, যেখানে অভিনয়ের বিভিন্ন রকম পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে এই শিল্পীরা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গল্প উপস্থাপন করবেন। যুদ্ধের পূর্বের সময়, কীভাবে যুদ্ধ শুরু হলো ও যুদ্ধের পরিণতির গল্প তুলে ধরার মাধ্যমে এ নাটকে বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাস মঞ্চায়িত হবে।
নাট্টনির্দেশক রমেশ মেয়্যাপ্পান বলেন, আমাকে যখন ইশারা ভাষায় বাংলাদেশের নামের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করা হয়, তখন আমি এই দেশের ইতিহাসের পেছনের আবেগ বুঝতে সক্ষম হয়েছি। কষ্ট ও বেদনার অসাধারণ অভিব্যক্তির মাধ্যমে এই ইতিহাস তুলে ধরতে এই দুঃসাহসী দলটি যে আগ্রহ দেখিয়েছে তা সত্যিই অতুলনীয়। এই মানুষগুলোর মনের কথা সবার সামনে প্রকাশের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে সর্বস্তরের মানুষের কথা শোনা ও বোঝার প্রচেষ্টাকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আপনাদের নাটকটি দেখতে সকলকে আমন্ত্রণ জানাই।
নৈঃশব্দ্যে ’৭১ ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডেয়ার (ডিজঅ্যাবিলিটি আর্টস রিডিফাইনিং এমপাওয়ারমেন্ট) প্রকল্পের একটি আয়োজন। ঢাকা থিয়েটারের সাথে অংশীদারিত্বে ২০১৯ সালে ডেয়ার চালু হয়। এরপর থেকে এটি দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে চার ধরণের প্রতিবন্ধী শিল্পী এবং থিয়েটার শিল্পীদের সাথে কাজ করছে। ডেয়ার প্রকল্পের লক্ষ্য দেশের ডিজঅ্যাবিলিটি এবং শিল্পকলা খাতের মধ্যে সেতু বন্ধন এবং আস্থার জায়গা তৈরি করা।
এই প্রকল্পের অধীনে ডিজঅ্যাবিলিটি থিয়েটার নিয়ে কীভাবে কাজ করা যায় এবং সে সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা পেতে প্রতিবন্ধী শিল্পীরা এবং স্থানীয় নাট্য সংগঠনের শিল্পীরা একসাথে কাজ করছে। বাংলাদেশে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ৭০তম বর্ষপূর্তি এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে এই নাটকটি নির্মিত হয়। ইতোপূর্বে ২০২১ ও ২০২২ সালে নাটকটির দুটো পরীক্ষামূলক আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।