বাণিজ্যিক জাহাজকে হয়রানির ‘পশ্চিমা মিথ্যাচারের’ জবাবে যা বলল ইরান

0

হরমুজ প্রণালিতে একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজ হয়রানির শিকার হয়েছে বলে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো যে অভিযোগ করেছে তা সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি। 

আইআরজিসির নৌবাহিনী বলেছে, ওই জাহাজটি বিপদ অনুভব করে সাহায্যের আবেদন জানানোর পর আইআরজিসির বোটগুলো সেটির সাহায্যে ছুটে গেছে।

এর আগে মার্কিন নৌবাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো দাবি করেছিল, পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালিতে ইরানি গানবোটগুলো একটি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজকে ‘হয়রানি’ করছে এমন খবর পেয়ে আমেরিকা ও ব্রিটেনের নৌবাহিনী ওই জাহাজটির সাহায্যে এগিয়ে এসেছে। মার্কিন নৌবাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে বিবিসিসহ বিভিন্ন পশ্চিমা গণমাধ্যম খবরটি ফলাও করে প্রচার করেছে।

এ সম্পর্কে জেনারেল গোলামশাহি বলেন, শত্রুভাবাপন্ন গণমাধ্যমগুলো নীতিনৈতিকতা না মেনে সম্পূর্ণ অপেশাদার মনোভাব নিয়ে এ সংক্রান্ত খবর তৈরি করেছে। তারা পারস্য উপসাগরে বহিঃশক্তির সামরিক উপস্থিতিকে বৈধতা দেওয়ার জন্য এ ধরনের ভুয়া খবর ‘উৎপাদন’ করে তা বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরছে।

হরমুজ প্রণালির ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে আইআরজিসির নৌকমান্ডার বলেন, গত শনিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের পতাকাবাহী একটি বাণিজ্যিক জাহাজ হরমুজ প্রণালি অতিক্রম করার সময় সাহায্যের আবেদন জানিয়ে ডিসট্রেস কল পাঠায়। তিনি বলেন, হরমুজ প্রণালিতে মোতায়েন ইরানের কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার তাৎক্ষণিকভাবে ওই আবেদনে সাড়া দেয়।

জেনারেল গোলামশাহী বলেন, ওই জাহাজের ক্যাপ্টেন উদ্বেগ প্রকাশ করে জানান যে, তার জাহাজের কয়েক মাইলের মধ্যে তিনি তিনটি বেসামরিক হালকা বোট দেখতে পেয়েছেন এবং তার কাছে মনে হয়েছে ওই বোটগুলো তার জাহাজকে হয়রানি করতে পারে। এ সময় ইরানের কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার জাহাজটির ক্যাপ্টেনের ওই উদ্বেগ নিরসনের ব্যবস্থা করে দেয়।

ইরানের এই নৌকমান্ডার বলেন, বাণিজ্যিক জাহাজটি যখন সাহায্যের আবেদন জানায় তখন ওই এলাকায় বহিঃশক্তির কোনও নৌ উপস্থিতি ছিল না। কাজেই আমেরিকা বা ব্রিটেনের নৌবাহিনী এসে বাণিজ্যিক জাহাজটিকে উদ্ধার করেছে বলে যে খবর পশ্চিমা গণমাধ্যমগুলো দিয়েছে তা ‘ডাহা মিথ্যা।’

জেনারেল গোলামশাহী বলেন, পারস্য উপসাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, উদ্ধার তৎপরতা চালানো এবং যেকোনও সাহায্যের আবেদনে সাড়া দেওয়া আইআরজিসির নৌবাহিনীর রুটিন কাজ। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, পারস্য উপসাগরের নিরাপত্তা এই অঞ্চলের দেশগুলোই রক্ষা করতে সক্ষম এবং এখানে অযথা বিদেশি সামরিক উপস্থিতির প্রয়োজন নেই। সূত্র: প্রেসটিভি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here