বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) খুলনা জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন (২০২৩-২০২৫) অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহণ হয়। নির্বাচনে ভোটারদের সরাসরি ভোটে মোট ২২টি পরিচালক নির্বাচিত হন। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নির্বাচন বোর্ড চেয়ারম্যান গোপী কিষণ মুন্ধড়া এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
নির্বাচিত পরিচালকরা পরবর্তীতে ভোটের মাধ্যমে ১ জন সভাপতি, ৪ জন সহসভাপতি, ১ জন সাধারণ সম্পাদক, ৫ জনসহ সম্পাদক ও ১ জন কোষাধ্যক্ষ নির্বাচন করবেন। নির্বাচনে ১৫২ জন ভোটারের মধ্যে সকলেই ভোট প্রদান করেন।
এর আগে নগরীর ইউনাইটেড ক্লাব ভোটকেন্দ্রে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত টানা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে পরিচালক পদে ৩৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে নির্বাচিত হন ২২ জন।
এদিকে নির্বাচন উপলক্ষ্যে ভোটকেন্দ্রে সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করে। ব্যানার-পোস্টার, লিফলেট বিতরণ, প্রার্থীদের ভোট প্রার্থনা ও ভোটারদের পদচারনায় ভোটকেন্দ্র পরিণত হয় মিলনমেলায়।
বাজুস খুলনা জেলা শাখার নির্বাচন বোর্ড (২০২৩-২৫)’র চেয়ারম্যান গোপী কিষণ মুন্ধড়া বলেন, জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য, মালিক কর্মচারি কারিগর বা তাদের সহযোগী সবাই আনন্দমুখর পরিবেশে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। মোট ৩৮ জন প্রার্থী পাশাপাশি বসে ভোট প্রার্থনা করছেন কিন্তু কারো সাথে কোন বিভেদ নেই। প্রতিদ্বন্দ্বিতা আছে বৈরী মনোভাব নেই। বরং আনন্দমুখর পরিবেশে একত্রিত হওয়ায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠানটি মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে।
বাজুস কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. রিপনুল হাসান বলেন, এটা শুধু নির্বাচন নয় একটা গেট টুগেদারের মতো। খুলনার এই নির্বাচন দেখেতে খুলনা বাগেরহাট নড়াইল সাতক্ষীরার ব্যবসায়ীরাও পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত হন। সবাই আন্তরিকতা নিয়ে পরস্পরের কুশল বিনিময় করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের স্বর্ণ অলঙ্কারকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সভাপতি ও দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের নেতৃত্বে জুয়েলারি শিল্প আলোর মুখ দেখেছে। বাজুস সভাপতির ইচ্ছায় বাংলাদেশ জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা এক ছাতার নিচে এসেছে। সংগঠনের সভাপতির নির্দেশনা অনুযায়ী উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আমরা ব্যবসায়ীরা একত্রিত হয়ে কাজ করছি।