গাজায় কার্যরত ৩৭টি আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থার কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংস্থাগুলো তাদের ফিলিস্তিনি কর্মীদের তথ্য জমা না দিলে আগামী বৃহস্পতিবার থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইসরায়েল ফিলিস্তিনি কর্মীদের পরিচয়, দায়িত্ব ও পটভূমি সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য দিতে বলেছে। তবে মানবিক সংস্থাগুলোর মতে, যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার প্রয়োজনের তুলনায় বর্তমানে সহায়তার পরিমাণ এমনিতেই অপ্রতুল। আর এই শর্ত মানলে এ অঞ্চলে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা সরবরাহ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
ইসরায়েলের ইহুদিবিদ্বেষ প্রতিরোধ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গিলাদ জুইক বলেন, ‘এই সংস্থাগুলো ফিলিস্তিনি কর্মীদের তালিকা দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছে, কারণ তারা জানে, কিছু কর্মী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত বা হামাসের সঙ্গে যুক্ত।’
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৩৭টি সংস্থা নতুন শর্ত পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। ১০ মাসেও তারা এ শর্ত পূরণ করেনি। আগামী ১২ ঘণ্টার মধ্যেও তারা এটা করবে, সে বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই।’
মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোর কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ শক্তিশালী ও হালনাগাদ করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক চিকিৎসা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার্স-কে আলাদাভাবে অভিযুক্ত করেছে ইসরায়েল। তাদের দাবি, সংস্থাটির দুই কর্মী ইসলামিক জিহাদ ও হামাসের সদস্য ছিলেন। ইসরায়েলের সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও রয়েছে নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল, ওয়ার্ল্ড ভিশন ইন্টারন্যাশনাল, কেয়ার ও অক্সফাম।
জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, এ ধরনের পদক্ষেপ গাজায় মানবিক সংকট আরও গভীর করবে।

