শীত এলেই অনেকেরই দাঁতে হঠাৎ শিরশিরে ও ব্যথা শুরু হয়। ঠান্ডা পানি, আইসক্রিম কিংবা গরম খাবার খাওয়ার সময় দাঁতে ঝাঁকুনি লাগার মতো অনুভূতি হয়। চিকিৎসকদের মতে, শীতকালে দাঁতের সংবেদনশীলতা ও ব্যথা বাড়ার পেছনে কিছু নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে। তবে ঘরোয়া যত্ন ও সঠিক অভ্যাসে এই সমস্যা অনেকটাই রোধ করা যায়।
কেন শীতে দাঁত ব্যথা বাড়ে?
শীতের ঠান্ডা বাতাসে দাঁতের এনামেল সংকুচিত হয়। যাদের দাঁতের এনামেল দুর্বল বা মাড়ি সরে গেছে, তাদের ক্ষেত্রে দাঁতের ভেতরের স্নায়ু সহজেই ঠান্ডার সংস্পর্শে আসে। এ ছাড়া দাঁতে ক্যাভিটি, ফাটল বা মাড়ির প্রদাহ থাকলেও শীতে ব্যথা বাড়তে পারে।
দাঁত ব্যথা কমানোর ঘরোয়া উপায়
কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলকুচি : প্রতিদিন কয়েকবার লবণ মিশ্রিত কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলকুচি করলে মাড়ির প্রদাহ কমে এবং ব্যথা উপশম হয়।
ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলুন : শীতকালে খুব ঠান্ডা পানি, আইসক্রিম বা অতিরিক্ত গরম খাবার একসঙ্গে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
নিয়মিত নরম ব্রাশে দাঁত মাজুন : দাঁত ব্যথা রোধে নিয়মিত ব্রাশ করতে হবে। তবে শক্ত ব্রাশ দাঁতের এনামেল ক্ষয় করে এবং মাড়ি আরও দুর্বল করে দিতে পারে। নরম ব্রাশের ব্যবহার দাঁতের এনামেল ক্ষয় রোদ করতে সাহায্য করে।
লবঙ্গ বা লবঙ্গের তেল: হালকা দাঁত ব্যথায় তুলোর সাহায্যে অল্প লবঙ্গের তেল ব্যথার জায়গায় লাগালে সাময়িক আরাম পাওয়া যায়।
ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার : ভিটামিন সি ও ক্যালসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী। শীতের মৌসুমি ফল, দুধ, টক দই ও শাকসবজি খাদ্যতালিকায় রাখুন।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন?
তবে দাঁত ব্যথা যদি কয়েক দিনের বেশি থাকে, ফোলা, রক্তপাত বা তীব্র ব্যথা দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

