মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় মা ও ছেলে শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে গলায় ফাঁস দিয়ে শিশুসহ আত্মহত্যা করেছেন।
গত রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের উত্তর বড়ডহর গ্রামে এ হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন—উত্তর বড়ডহর গ্রামের কতুব উদ্দিনের স্ত্রী মরিয়ম আক্তার এবং তার চার বছর বয়সী ছেলে আয়ান মোহাম্মদ তোহা। এমন ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে দাফন করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার সন্ধ্যায় নিহতের ঘর বন্ধ অবস্থায় দেখে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেন। এসময় নিহতের স্বামী বাইরে ছিলেন। এক পর্যায়ে বসতঘরের আড়ায় এক ওড়নায় গৃহবধূ মরিয়ম আক্তার (২৫) ও আরেকটি ওড়নায় তাঁর চার বছর বয়সী ছেলে আয়ান মোহাম্মদের লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
মরিয়ম আক্তার ওই গ্রামের বাসিন্দা ব্যবসায়ী কুতুব উদ্দিনের স্ত্রী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মা ও ছেলের লাশ উদ্ধার করে। তবে এ সময় মরিয়মের স্বামী কুতুব উদ্দিনকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি।এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কুতুব উদ্দিনের স্থানীয় সমাই বাজারে বৈদ্যুতিক সামগ্রীর একটি দোকান রয়েছে। প্রায় চার বছর আগে মরিয়মের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁরা টিনশেডের আধা পাকা একটি ঘরে বসবাস করতেন। বাড়ির আশপাশের ঘরগুলোয় কুতুব উদ্দিনের পরিবারের অন্য সদস্যরা থাকেন।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও মরিয়মের স্বামী কুতুব উদ্দিনের মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
জুড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দিন আজ সোমবার বলেন, ঘরের আড়ায় পাশাপাশি দুটি ওড়নায় মা ও সন্তানের লাশ ঝুলতে দেখা গেছে। দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে লাশ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় দুজনের শরীরে ফাঁসের আঘাত ছাড়া অন্য কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। সন্তানকে ফাঁস লাগানোর পর মরিয়ম নিজেও ফাঁস দিতে পারেন। পারিবারিক কলহের জেরে এ ঘটনা ঘটতে পারে। ঘটনাস্থলে মরিয়মের স্বামীকে পাওয়া যায়নি। ময়না তদন্তের পর লাশ দাফন করা হয়েছে। এবং একটি অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

