কুষ্টিয়ার খোকসায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ১৩৫০ বস্তা ডিএপি ও এমওপি সার জব্দ করেছে। এ ঘটনায় অবৈধ মজুদদারকে এক লাখ টাকা জরিমানা ও জব্দ সার বাজেয়াপ্ত করেছে আদালত।
শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় উপজেলার কমলাপুরে অবৈধ সার মজুদদার সামিম হোসেনের গোড়াউনে অভিযান চালায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টট তাসমিম জাহান। ব্যবসায়ীর গুদামজাত করা ডিএপি ও এমওপি সারের খাতাপত্র অনুযায়ী ১৩৫০ বস্তা সার মজুদ পায়। ওই অবৈধ সারের মজুদদারকে নগদ এক লাখ টাকা জমিমানা করা হয়। একই সাথে জব্দের পর বাজেয়াপ্ত করা সব সার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার জিম্মায় রাখা হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল নোমান জানান, অবৈধ মজুদ সারের দাম প্রায় ১৩ লাখ টাকা। মজুদদার সামিম হোসেন বিএডিসি বা বিসিআইসির তালিকা ভুক্ত ডিলার নন। তিনি সব সার অবৈধ ভাবে মজুদ রেখেছিলেন। সমস্ত সার কৃষকদের কাছে ন্যার্যমূল্যে বিক্রি করা হবে। একই সাথে সমুদয় টাকা সরকারী কোষাগারে জমা হবে।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমিম জাহান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি অভিযান পরিচালনা করে সমুদয় সার জব্দ করেন। এ ঘটনায় অবৈধ মজুদদারকে জরিমানা করা হয়। এছাড়াও উপজেলা কৃষি অফিসারকে আহবায়ক করে আটক ও বাজেয়াপ্ত করা সার বিক্রির জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা সার বিক্রির টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেবেন।

