পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের আমন্ত্রণে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) প্রেসিডেন্ট ও আবুধাবির শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান ইসলামাবাদে পৌঁছেছেন। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) নূর খান বিমানঘাঁটিতে পৌঁছালে শেহবাজ শরিফের উপস্থিতিতে প্রতিনিধিল দলটিকে লাল গালিচা বিছিয়ে দেওয়া হয়।
এটি ইউএই প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার প্রথম সরকারি পাকিস্তান সফর। এর আগে তিনি চলতি বছরের শুরুতে ব্যক্তিগত সফরে পাকিস্তান এসেছিলেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের (এফও) তথ্যমতে, সফরকালে শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করবেন। বৈঠকে দুই দেশ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের সার্বিক অগ্রগতি পর্যালোচনা করবেন এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে মতবিনিময় করবেন।
এছাড়াও দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, এই সফর পাকিস্তান ও ইউএইর দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ককে আরও জোরদার করবে। বাণিজ্য, বিনিয়োগ, জ্বালানি, উন্নয়ন এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়ে উভয় দেশের অভিন্ন অঙ্গীকারের প্রতিফলন এই সফর
বিশ্লেষকদের মতে, এই সফর আঞ্চলিক কূটনীতির দিক থেকেও তাৎপর্যপূর্ণ। ইউএই সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রাশিয়ার সঙ্গে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করেছে এবং ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে মধ্যস্থতামূলক ভূমিকাও রেখেছে। সেই প্রেক্ষাপটে, পাকিস্তানের সঙ্গে ইউএইর ঘনিষ্ঠ সমন্বয় রাশিয়া–মধ্যপ্রাচ্য–দক্ষিণ এশিয়া সংযোগে ইসলামাবাদের কৌশলগত গুরুত্ব বাড়াতে পারে। জ্বালানি নিরাপত্তা, বিনিয়োগ প্রবাহ এবং বহুপাক্ষিক কূটনীতিতে পাকিস্তান এ সফর থেকে বাস্তব সুফল আদায়ের সুযোগ পেতে পারে।
এছাড়া, পাকিস্তানের অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ইউএইর সম্ভাব্য বিনিয়োগ, আর্থিক সহায়তা ও জ্বালানি খাতে সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সফর উপলক্ষে ইসলামাবাদে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পাকিস্তান সেক্রেটারিয়েট, সব ফেডারেল দপ্তর, সংসদের দুই কক্ষের সেক্রেটারিয়েট এবং রাজধানীর আদালতসমূহ বন্ধ থাকবে। তবে ব্যাংক ও জরুরি সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলো—যেমন ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (সিডিএ), পুলিশ এবং সুই নর্দার্ন গ্যাস পাইপলাইনস লিমিটেডসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান খোলা থাকবে।

