শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার বলেছেন, মওলানা ভাসানী কেবল একজন রাজনৈতিক নেতা ছিলেন না; তিনি ছিলেন একটি নৈতিক কণ্ঠস্বর ও বিবেক। আজও তিনি বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার জায়গা হিসেবে পরিগণিত।
মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘বি-উপনিবেশায়ন ও মওলানা ভাসানী’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, মওলানা ভাসানী বিশ্বাস করতেন ধর্ম মানুষের নৈতিক শক্তির উৎস হতে পারে। তবে রাষ্ট্র পরিচালনায় নাগরিক অধিকার ও রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সাম্য, ন্যায়বিচার ও মানবিক মর্যাদাই হতে হবে মূল ভিত্তি।
তিনি বলেন, এই দৃষ্টিভঙ্গিই তাকে তার সময়ের অন্যান্য নেতাদের চেয়ে আলাদা করে তুলেছিল এবং আজও তা বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষার জায়গা হিসেবে বিবেচিত।
শিক্ষা উপদেষ্টা আরও বলেন, ভাসানী উপলব্ধি করেছিলেন যে রাজনৈতিক স্বাধীনতা তখনই অর্থবহ, যখন তা মানুষের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, সাংস্কৃতিক মর্যাদা ও আত্মসম্মান রক্ষা করতে পারে। এই নীতিগত অবস্থান থেকেই তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই পাকিস্তানি শাসনব্যবস্থার ভেতরের বৈষম্য ও অবিচার চিহ্নিত করতে সক্ষম হন।
তিনি বলেন, ভাসানী ক্ষমতার প্রশ্নে কখনো আপোষ করেননি। এই চেতনা থেকেই আমরা শিখি যে বিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় হতে হবে এমন জায়গা, যেখানে বিতর্ক নিরাপদ, ভিন্নমত প্রকাশ সম্ভব এবং সত্য বলার সাহসকে উৎসাহিত করা হয়। বিপরীতে, যে শিক্ষা ব্যবস্থা প্রশ্নকে ভয় পায়, সে ব্যবস্থা কখনো ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তুলতে পারে না।

