বিশ্ব ক্রিকেটে বাংলাদেশের অন্যতম উজ্জ্বল নাম এখন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। আইসিসির এলিট প্যানেলে থাকা এই বাংলাদেশি আম্পায়ার অ্যাশেজ, বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি, অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফির মতো মর্যাদাপূর্ণ সিরিজে ধারাবাহিকভাবে দায়িত্ব পালন করে নিজের সক্ষমতার প্রমাণ দিচ্ছেন। একাধিক বিশ্বকাপেও ম্যাচ পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার।
প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আইসিসির আম্পায়ারদের এলিট প্যানেলে জায়গা করে নেওয়ার পর থেকেই সৈকতের খ্যাতি ও গ্রহণযোগ্যতা দ্রুত বেড়েছে। কঠিন ও চাপের মুহূর্তে ঠাণ্ডা মাথায় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতায় প্রশংসিত হয়েছেন তিনি। অ্যাশেজে বেন স্টোকসকে শান্ত করা কিংবা বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফিতে জাসপ্রিত বুমরাহ ও স্যাম কনস্টাসের মধ্যকার উত্তপ্ত পরিস্থিতি সামাল দেওয়ায় সৈকতের বিচক্ষণতা বিশেষভাবে নজর কেড়েছে।
রিভিউ ব্যবস্থাতেও তার সিদ্ধান্ত খুব কম ক্ষেত্রেই বদলাতে হচ্ছে, যা তার আম্পায়ারিং মানের বড় প্রমাণ। ফলে ক্রিকেটবিশ্বজুড়েই তার প্রশংসা এখন ব্যাপক।
এই অভিজ্ঞতার স্বীকৃতি হিসেবে আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগেও (বিপিএল) আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকত। এবারের বিপিএলে তিনি ম্যাচপ্রতি ২ হাজার ৫০০ মার্কিন ডলার পারিশ্রমিক পাবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় দুই লাখ টাকারও বেশি। গত আসরে তিনি ম্যাচপ্রতি ২ হাজার ডলার করে পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন।
এই পারিশ্রমিক সৈকতের জন্য প্রাপ্য বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি দেশের সেরা আম্পায়ার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আইসিসির এলিট প্যানেলে থাকা ছাড়াও বিসিবি তাকে ব্যবহার করছে দেশের নতুন আম্পায়ারদের গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে। সব মিলিয়ে আম্পায়ারিং বিভাগে বাংলাদেশের জন্য সৈকত এখন এক অমূল্য সম্পদ।
আগামী ২৬ ডিসেম্বর সিলেট পর্বের মাধ্যমে শুরু হচ্ছে বিপিএলের নতুন মৌসুম।

