জমে উঠেছে বৈশাখী টিভির ধারাবাহিক নাটক ‘মহল্লা’

0
জমে উঠেছে বৈশাখী টিভির ধারাবাহিক নাটক ‘মহল্লা’

জমে উঠেছে বৈশাখী টিভির নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘মহল্লা’। প্রচারের শুরু থেকেই দর্শকদের দারুণ সাড়া পাচ্ছে পুরান ঢাকার পটভূমিতে নির্মিত এই নাটকটি। জনপ্রিয় নির্মাতা ফরিদুল হাসান পরিচালিত ধারাবাহিকটির চিত্রনাট্য লিখেছেন বিদ্যুৎ রায়।

নাটকটিতে অভিনয় করেছেন যাহের আলভী, তন্ময় সোহেল, আইরিন সুলতানা, তিথি ইফতি, আব্দুল্লাহ রানা, রেশমী আহমেদ, সাবা সুম্মিতা, সিয়াম মৃধা, ওন্যান ইসলাম, সামিহা, রকি খান, সাইকা আহমেদ, মুকিত জাকারিয়া, আশরাফুল আলম সোহাগ, আযান, মাসুদ মহিউদ্দিন, শহীদ উন নবী, জাবেদ গাজী, সাগর রহমান, মার্শাল, সিয়াম, নাসির, রাহি, আয়েশা নাফিজা, অনুভব, মেহেজাবিন, উপমা আহমেদসহ আরও অনেকে।

ধারাবাহিকটি প্রতি সপ্তাহে শনিবার, রবিবার ও সোমবার রাত ৮টা ৪০ মিনিটে বৈশাখী টিভিতে প্রচারিত হচ্ছে।

নাটকের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে পুরান ঢাকার একটি মহল্লাকে কেন্দ্র করে। সেখানে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মাসুম ও বাবুর মধ্যে ঠুনকো একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। মুখে তর্ক-বিতর্ক চললেও কেউই সরাসরি সংঘর্ষে জড়ায় না। আড়ালে মাসুম পরিচিত ‘মুরগি মাসুম’ নামে, আর বাবু ‘বদনা বাবু’। মাসুমের বিশ্বস্ত সহযোগী দুম্বা নাসির এবং বাবুর সহযোগী উগান্ডা মানিক।

এই শত্রুতার পেছনে রয়েছে তাদের পারিবারিক ইতিহাস। মাসুমের বাবা হাকিম মুন্সি একজন করাতকলের মালিক, আর বাবুর বাবা বেলায়েত সর্দার স্টক ব্যবসায়ী। একসময় গভীর বন্ধুত্ব থাকলেও বিশেষ কারণে তারা শত্রুতে পরিণত হন। সেই বিরোধ আরও তীব্র আকার ধারণ করে মাসুম ও বাবুর মাধ্যমে।

মহল্লায় আলাদা আলাদা আড্ডা থাকলেও সাবেক কাউন্সিলর বিজলীর দুই মেয়ে আদুরী ও ময়নাকে ভালোবাসাকে কেন্দ্র করে মাসুম ও বাবুর মুখোমুখি হতে হয় বারবার। মাসুম ভালোবাসে বড় বোন আদুরীকে, আর বাবু ভালোবাসে ছোট বোন ময়নাকে। কুৎসা রটানো ও ভুল বোঝাবুঝির মধ্য দিয়ে ঘটতে থাকে নানা মজার ঘটনা।

এদিকে মহল্লায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছে সোবহান-শেলী দম্পতি। তাদের ছেলে অনিক একজন যুবনেতা, যে রাজনীতিকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিয়েছে। প্রেম-ভালোবাসায় বাউন্ডুলে অনিকের জীবনে আসে নানা জটিলতা। পাশের মহল্লার খেয়ার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠায় সে মাসুমের বিরাগভাজন হয়। একইসঙ্গে আসাদ পাটোয়ারীর মেয়ে সেতুও অনিককে ভালোবাসে, যদিও অনিক তাকে গুরুত্ব দেয় না।

অন্যদিকে কুষ্টিয়া থেকে আসা ব্যবসায়ী ফারুক ও ফরিদপুরের শরিফ বুঝতে পারে, এই এলাকায় বাবু-মাসুম এবং অনিকদের প্রভাব প্রবল। নিজেদের স্বার্থে তারা কখনও এক পক্ষের, কখনও অন্য পক্ষের সঙ্গে মিত্রতা গড়ে তোলে।

নানা জটিলতা, দ্বন্দ্ব ও সংঘাতের মধ্য দিয়ে গল্প এগিয়ে চলে নতুন সম্ভাবনার পথে। সময়ের পালাবদলে শত্রু বন্ধুতে রূপ নেয়, আবার বন্ধু হয়ে ওঠে শত্রু। তবুও পুরান ঢাকার এই মহল্লা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকে মানবতা, সহমর্মিতা ও সম্পর্কের জয়গান নিয়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here