বাংলাদেশের বাস্তবতায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেওয়ার পরিবেশ আমরা তৈরি করতে পারিনি। অনেক সময় মাঠ পর্যায়ে আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ব্যর্থতার পরিচয় দেয়। এই ব্যর্থতার দায় আমাদের সকলেরই। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বর্তমানে পুলিশসহ যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আছে তাদের নৈতিক ও পেশাগতভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর মত অবস্থা এখনো তৈরি হয়নি। এ কারণে আমরা তাদের কাছ থেকে এখনো সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব আশা করতে পারি না।
রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)- এর আয়োজিত এক কর্মশালায় সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জান এসব বলেন।
‘ট্রেনিং অন ইলেকশন রিপোর্টিং অ্যান্ড সেফটি অফ দা জার্নালিস্ট’ শীর্ষক কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিআইজি তাপতুন নাসরিন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সদস্য এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলী।
ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, নির্বাচনের সময় সাংবাদিকদের দায়িত্ব পালনকালে তাদের নিরাপত্তা দেওয়াসহ অনেকগুলো জটিল ইস্যু আছে যে ব্যাপারে আমরা নির্বাচন কমিশনকে কনভিন্স করতে পারিনি, এ ব্যাপারে আমাদের আবার নির্বাচন কমিশনের কাছে যেতে হবে। বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রে যাদের ক্ষমতা ও কর্তৃত্ব বেশি, যারা নিজেদের নির্বাচনের ফলাফলে বিজয়ী ধরে রেখেছেন সাংবাদিকদের সুষ্ঠু দায়িত্ব পালনে তাদের বাধা দেওয়ার প্রবণতা বেশি। আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন হয়েছে এটা ভাবার কোনই সুযোগ নেই। গত ৫ আগস্ট থেকে আমরা সেটা দেখছি। সব মিলিয়ে আমাদের কাজ মসৃণ হয়ে গেছে এটা ভাবারও সুযোগ নেই। পুলিশ বাহিনীর এখনো ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগ না হলেও আশা করবো তারা দলীয়ভাবে প্রভাবিত হবেন না। আমরা আশা করবো নির্বাচনকালীন সময় তারা সঠিকভাবেই তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন।

