দক্ষিণ লেবাননের তাইবেহ শহরে ইসরায়েলের ড্রোন হামলার খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় সময় শনিবার (২১ ডিসেম্বর) লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এনএনএ গতকাল এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এক বছর আগে ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধ থামানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ কমিটির বৈঠকের একদিন আগে এই হামলা চালানো হলো। ইসরায়েল ও লেবানন পূর্বে শুধুমাত্র সামরিক-ভিত্তিক কমিটিতে বেসামরিক সদস্যদের নিয়োগের পর গতকাল এই সমাবেশটি হবে। যা দ্বিতীয় বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। এ দলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং সীমান্তে মোতায়েন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীও রয়েছে।
এনএনএ জানায়, হামলার আগে বৈরুতের দক্ষিণ দাহিয়ায় খুন নিচ দিয়ে ইসরায়েলি ড্রোন উড়তে দেখা যায়। এরপর একপর্যায়ে তৎপরতার পর এই হামলা চালানো হয়। দক্ষিণ লেবাননের জাহরানি এলাকার গ্রাম এবং দেশটির উত্তর-পূর্বে হারমেল জেলার উপরে একই ধরণের বিমানের ঘটনা শনাক্ত করা হয়েছে।
সংস্থাটির তথ্যে আরও বলা হয়, দক্ষিণের ব্লিদা শহরে ইসরায়েলি ড্রোন থেকে বোমা ফেলা হয়েছে। পাশাপাশি একটি আত্মঘাতী ড্রোন এমন একটি বাড়িতে আঘাত হানে, যেটি ২০২৪ সালের অক্টোবরে সংঘাতের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তবে এ ঘটনায় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকেও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকলেও দক্ষিণ ও পূর্ব লেবানন এবং বৈরুতের দক্ষিণ উপশহরগুলোতে নিয়মিত হামলার অভিযোগ উঠছে। লেবাননের দাবি, লিতানি নদীর দক্ষিণে এখনো পাঁচটি স্থানে ইসরায়েলি সেনা অবস্থান করছে। এসব এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
অন্যদিকে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনী ইউনিফিল জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে ইসরায়েল ১০ হাজারের বেশি লঙ্ঘন করেছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, এ সময়ের মধ্যে অন্তত ৩৪০ জন নিহত এবং ৯৭০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।
সূত্র: আরব নিউজ।

