দুই দলই সুযোগ পেল অনেক, সুযোগ হারালও অসংখ্য। এর মাঝেই চমৎকার গোল করলেন জুড বেলিংহ্যাম। শেষ দিকে স্পট কিকে জালের দেখা পেয়ে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর রেকর্ড স্পর্শ করলেন কিলিয়ান এমবাপে। সেভিয়াকে হারিয়ে বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান কমাল রিয়াল মাদ্রিদ।
সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ২-০ গোলে জিতেছে শাবি আলোন্সোর দল। দ্বিতীয়ার্ধে অনেকটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলেছে সেভিয়া।
ঘরের মাঠে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা দুই হারের পর জয়ের দেখা পেল রেয়াল। লিগে সবশেষ সাত ম্যাচে তাদের কেবল তৃতীয় জয় এটি। বছরের শেষটা জয় দিয়ে করতে পারল তারা।
১৮ ম্যাচে ১৩ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে রেয়াল। এক ম্যাচ কম খেলে ৪৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে গতবারের চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা।
১৭ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে নবম স্থানে আছে সেভিয়া। ম্যাচে প্রায় ৫৩ শতাংশ পজেশন রেখে গোলের জন্য ১৮টি শট নিয়ে ৮টি লক্ষ্যে রাখতে পারে রেয়াল। সেভিয়ার ১৪ শটের ৫টি লক্ষ্যে ছিল।
গত সপ্তাহে কোপা দেল রের শেষ বত্রিশে তালাভেরার বিপক্ষে ৩-২ গোলে জয়ের ম্যাচ থেকে একাদশে সাতটি পরিবর্তন আনেন রেয়াল কোচ। পঞ্চম মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় স্বাগতিকরা। ফ্রান গার্সিয়ার শট এগিয়ে এসে রুখে দেন গোলরক্ষক।
সপ্তম মিনিটে সুবর্ণ সুযোগ হারান সেভিয়ার ইসাক রোমেরো। সতীর্থের পাস ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন তিনি। সামনে একমাত্র বাধা ছিল গোলরক্ষক, কিন্তু বাইরে মেরে বসেন স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড।
আক্রমণ করে গেলেও শুরুর প্রচেষ্টার পর আর কোনো শট লক্ষ্যে রাখতে পারছিল না রেয়াল। ৩৮তম মিনিটে ডান দিক থেকে রদ্রিগোর ক্রসে বক্সে লাফিয়ে দারুণ হেডে দলকে এগিয়ে নেন বেলিংহ্যাম।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আক্রমণ পাল্টা-আক্রমণে জমে ওঠে লড়াই। দুই দলই পায় একের পর এক সুযোগ। সেভিয়ার আলেক্সিস সানচেস ও রোমেরোর শট আটকে দেন গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। এমবাপের দুটি প্রচেষ্টা ঠেকান সেভিয়ার গোলরক্ষক। ফরাসি তারকার একটি হেড লাগে পোস্টে।
৬৬তম মিনিটে সাবেক বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড সানচেসের আরেকটি শট দারুণ নৈপুণ্যে ব্যর্থ করে দেন কোর্তোয়া। ৬৮তম মিনিটে আরেক ধাক্কা খায় সেভিয়া। বেলিংহ্যামকে ফাউল করে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ডিফেন্ডার মার্কাও।
নির্ধারিত সময়ের চার মিনিট বাকি থাকতে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ান জন্মদিনে ম্যাচ খেলতে নামা এমবাপে। বক্সে রদ্রিগো ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় রেয়াল।
রেয়ালের হয়ে এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ছুঁলেন এমবাপে (৫৯টি)। ২০১৩ সালে রেকর্ডটি গড়েছিলেন রোনালদো। স্পট কিকে বল জালে পাঠিয়ে পর্তুগিজ মহাতারকার চিরচেনা ‘সিউ’ উদযাপন করেন ফরাসি ফরোয়ার্ড।
এবারের লা লিগার সর্বোচ্চ স্কোরার এমবাপের গোল হলো ১৮ ম্যাচে ১৮টি।

