শোম্যান কাইন্ডনেস অ্যাওয়ার্ড পেলেন সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেলর

0
শোম্যান কাইন্ডনেস অ্যাওয়ার্ড পেলেন সিআরপির প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেলর

জনহিতকর কাজে অবদানের জন্য ‘শোম্যান কাইন্ডনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেয়েছেন সেন্টার ফর দ্য রিহ্যাবিলিটেশন অব দ্য প্যারালাইজড (সিআরপি) এর প্রতিষ্ঠাতা ভ্যালেরি অ্যান টেলর ওবিই।

এছাড়া জাপানের মোরালজি ফাউন্ডেশন পেয়েছে ‘শোম্যান কাইন্ডনেস লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ ।

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে শোম্যান ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত ‘উদারতা, নৈতিক মূল্যবোধ এবং সুখের ওপর এর প্রভাব সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক কংগ্রেস’ (Kindness, Moral Values and Its Impacts on Happiness) অনুষ্ঠানে এসব অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এতে বিভিন্ন পেশাজীবী ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। বধির, অন্ধ এবং বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধী শিশুদের দ্বারা পরিবেশিত জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

ভ্যালেরি অ্যান টেলর ১৯৪৪ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাজ্যের কেন্টের ব্রোমলিতে জন্মগ্রহণ করেন। ইন্টারন্যাশনাল কংগ্রেস অন দ্য চার্টার্ড সোসাইটি অব ফিজিওথেরাপির একজন ফেলো হিসেবে তিনি ১৯৬৯ সালে ভলান্টারি সার্ভিস ওভারসিজের সাথে প্রথম বাংলাদেশে আসেন এবং পার্বত্য অঞ্চলের চন্দ্রঘোনার খ্রিস্টান হাসপাতালে ফিজিওথেরাপিস্ট হিসেবে কাজ করেন।

১৯৭৩ সালে তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য একটি পুনর্বাসন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার তহবিল সংগ্রহের জন্য ইংল্যান্ডে ফিরে যান। ১৯৭৫ সালে তিনি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। এরপর ১৯৭৯ সালে প্রথম রোগী ভর্তি করে সিআরপি।

এই সময়কালে তিনি রাজধানী ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কাজ করেন। সিআরপি প্রথমে হাসপাতাল প্রাঙ্গণে দুটি সিমেন্টের স্টোররুম থেকে পরিচালিত হয়। ১৯৯০ সালের মাঝামাঝি সময়ে এটি স্থায়ীভাবে সাভারে স্থানান্তরিত হয়। সাভারেই এটির প্রধান কার্যালয় অবস্থিত।

ভ্যালেরি ১৯৯৫ সালে অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার, ১৯৯৬ সালে আর্থার আইর ব্রুক স্বর্ণপদক এবং ২০০৪ সালে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৮ সালে তাকে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব প্রদান করা হয়।

তিনি পপি এবং জ্যোতি নামে দুই বাংলাদেশি মেয়ের আইনি অভিভাবক। ভ্যালেরি তার ছোট দত্তক কন্যা পপির সঙ্গে সিআরপি-সাভার ক্যাম্পাসের কাছেই বাস করেন।  আর জ্যোতি ২০০৭ সালে বিয়ে করেন। তিনি সিআরপিতেই কাজ করেন।

এদিকে, ১৯২৬ সালের আগস্টে ড. চিকুরো হিরোইক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ‘দ্য মোরালজি ফাউন্ডেশন’ একটি জাপানি গবেষণা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

এটি হিরোইক কর্তৃক বিকশিত ‘মোরালজি’ নীতির ওপর ভিত্তি করে সামাজিক শিক্ষা প্রচার করে, যা নৈতিক অনুশীলনের প্রভাব প্রদর্শনের জন্য প্রচলিত এবং সর্বোচ্চ নৈতিকতার মধ্যে তুলনা করতে সহায়তা করে। এই দর্শনের মূল লক্ষ্য মানবকল্যাণ, বিশ্বব্যাপী সুখ এবং শান্তি প্রচার করা।

অনুষ্ঠানে কংগ্রেসের সভাপতি অধ্যাপক মতিউর রহমান মোল্লা স্বাগত বক্তব্যে দারিদ্র্য ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ সত্ত্বেও বাংলাদেশের স্থিতিস্থাপকতা তুলে ধরেন এবং দুর্বল সম্প্রদায়গুলোকে সমর্থন করার জন্য আরও শক্তিশালী আন্তর্জাতিক সহযোগিতার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন অধ্যাপক রুবাইউল মোর্শেদ।

অনুষ্ঠানে ‘হোয়াই কাইন্ডনেস ম্যাটার্স’ বইটির মোড়কও উন্মোচন করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here