ফিফার অব্যবস্থাপনায় টিকিট বিক্রির টাকা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ২০২৬ বিশ্বকাপের সমর্থকরা। ফিফার নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী টিকিট পুনরায় বিক্রির ৬০ দিনের মধ্যে অর্থ পরিশোধের কথা থাকলেও, অনেক ভুক্তভোগী দুই মাসের বেশি সময় ধরে টাকা পাননি।
গত সেপ্টেম্বর প্রি-সেল ড্রয়ের মাধ্যমে ১০ লাখ টিকিট ছাড়া হয়। পরে ২ অক্টোবর ফিফার অফিসিয়াল ‘রিসেল মার্কেটপ্লেস’ চালু করা হয়, যেখানে সমর্থকেরা নিজেদের টিকিট বিক্রি করতে পারেন। এই প্রক্রিয়ায় ফিফা ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় পক্ষ থেকেই ১৫ শতাংশ করে ফি কেটে রাখে।
তবে অভিযোগ উঠেছে, নির্ধারিত সময় পার হলেও বহু বিক্রেতাকে এখনো তাদের পাওনা অর্থ ফেরত দেওয়া হয়নি। ইংল্যান্ডের সমর্থক ইয়ান জানান, টরন্টোতে কানাডার উদ্বোধনী ম্যাচের টিকিট বিক্রি করে তার প্রায় ৬৫০ পাউন্ড পাওয়ার কথা থাকলেও ৬৫ দিন পেরিয়ে গেলেও তিনি টাকা পাননি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, বিশ্বকাপ থেকে কোটি কোটি আয় করলেও ফিফা সাধারণ পেমেন্ট ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থ হচ্ছে।
মেক্সিকোর এক সমর্থক জানিয়েছেন, তার পাওনা ৮ হাজার পাউন্ডেরও বেশি, যার ফলে ক্রেডিট কার্ডের বিল পরিশোধে তাকে চরম সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
এ বিষয়ে ফিফা আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি। তবে বিবিসি জানিয়েছে, পেমেন্ট প্রসেসিংয়ের জন্য এখন ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ব্যাংক তথ্য চাওয়া হচ্ছে, যদিও আগে বলা হয়েছিল টিকিট কেনার সময় ব্যবহৃত কার্ডেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে অর্থ ফেরত দেওয়া হবে।
এর আগে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিটের উচ্চমূল্য নিয়েও সমালোচনার মুখে পড়ে ফিফা। সম্প্রতি কিছু ম্যাচে ৬০ ডলারের ‘সাশ্রয়ী’ টিকিট ছাড়ার ঘোষণা দিলেও, ফাইনালের টিকিটের সর্বোচ্চ মূল্য ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৬১৫ পাউন্ড।
অননুমোদিত ওয়েবসাইট থেকে টিকিট না কিনতে বারবার সতর্ক করা হলেও, ফিফার নিজস্ব প্ল্যাটফর্মের এই অব্যবস্থাপনা বিশ্বজুড়ে ফুটবল সমর্থকদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি করেছে।

