শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখা জাতিসংঘ বছরের শেষপ্রান্তে এসে আরও এক ভয়াবহ সপ্তাহ পার করল। এক সপ্তাহের মধ্যে সুদানে ড্রোন হামলায় বাংলাদেশি সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী নিহত হয়েছেন। দক্ষিণ সুদানের নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে মারা গেছেন এক দোভাষী। আর ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীরা আটক করেছে আরও ১০ জন জাতিসংঘের কর্মীকে।
গতকাল শুক্রবার জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক একে ‘অত্যন্ত উদ্বেগজনক প্রবণতা’ হিসেবে উল্লেখ করে করেছেন। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের পতাকা দেশে দেশে সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে, কিন্তু আমরা আমাদের সহকর্মীদের জন্য সেই সুরক্ষা দিতে পারছি না। কর্মীদের সম্মান ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা জরুরি।’
১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের কাদুগলি লজিস্টিকস বেইসে বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র গোষ্ঠী ড্রোন হামলা চালায়। এতে ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত ও নয়জন আহত হন। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
এক বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘জঘন্য ও পরিকল্পিত’ আখ্যা দিয়ে সংস্থাটি বলেছে, এটি আন্তর্জাতিক আইনের চরম লঙ্ঘনের শামিল। হামলার তদন্ত করে দায়ীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে পরিষদ পুনর্ব্যক্ত করেছে, শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা যুদ্ধাপরাধের অর্ন্তভুক্ত হতে পারে।
এ ছাড়া ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা গত বৃহস্পতিবার আরও ১০ জন জাতিসংঘ কর্মীকে আটক করেছে। যার ফলে মোট আটকের সংখ্যা ৬৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
ডুজারিক জানান, মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এই আটকের তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত ও নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, নাগরিক সমাজ ও কূটনৈতিক মিশনের আরও কয়েক ডজন আটক ব্যক্তিকেও মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

