থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী

0
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাত নিরসনে যুক্তরাষ্ট্র আশাবাদী

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সংঘাত নিরসনে আগামী সোমবার বা মঙ্গলবারের মধ্যেই নতুন করে একটি যুদ্ধবিরতি কার্যকর হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রুবিও বলেন, ‘সব পক্ষকে চুক্তির আওতায় ফিরিয়ে আনতে আমরা জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা আশাবাদী যে আগামী সপ্তাহের সোমবার বা মঙ্গলবারের মধ্যে আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারব।’

এদিকে, দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় আঞ্চলিক জোট আসিয়ান-এর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সোমবার মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে এক বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। 

ওই বৈঠকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার এই সংকটের ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আলোচনা করা হবে।

রুবিও আরও জানান, তিনি বৃহস্পতিবার টেলিফোনে থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিহাসাক ফুয়াংকেটকেওয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সপ্তাহান্তে এ বিষয়ে আরও আলোচনা হবে।

চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে একটি যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখার দাবি করেন। 

সে সময় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটিকে তার নিজের কূটনৈতিক সাফল্য হিসেবে উল্লেখ করেন এবং যে সব যুদ্ধ তিনি ‘সমাধান করেছেন’ বলে দাবি করেছেন-তার তালিকায় এই সংঘাতকেও অন্তর্ভুক্ত করেন।

রুবিও বলেন, ‘উভয় পক্ষ লিখিতভাবে কিছু প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং তাতে স্বাক্ষরও করেছে। কিন্তু বর্তমানে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণে সেই প্রতিশ্রুতিগুলো মানা হচ্ছে না।’

তিনি আরও বলেন, এখন আমাদের কাজ হলো এই দুই পক্ষকে আবার আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনা।

তিনি প্রশাসনের কূটনৈতিক ভূমিকার পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রচেষ্টায় এক পর্যায়ে সহিংসতা বন্ধ হয়েছিল, যদিও পরবর্তীতে তা আবার শুরু হয়।

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যকার এই সংঘাতের মূল কারণ দুই দেশের প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত কয়েকটি প্রাচীন মন্দিরের মালিকানা নিয়ে বিরোধ।

চলতি মাসে নতুন করে শুরু হওয়া সংঘর্ষে থাইল্যান্ডে অন্তত ২১ জন এবং কম্বোডিয়ায় ১৮ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া সহিংসতার কারণে দুই দেশে মিলিয়ে আট লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

সূত্র : রয়টার্স।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here