দিল্লির দূষণ থেকে বাঁচতে দেরাদুনে গিয়েও হতাশ ভারতীয়রা

0
দিল্লির দূষণ থেকে বাঁচতে দেরাদুনে গিয়েও হতাশ ভারতীয়রা

দূষণ থেকে বাঁচতে পাহাড়ের কোলে একটু প্রশান্তির খোঁজে দেরাদুনে পাড়ি জমাচ্ছেন হাজার হাজার দিল্লিবাসী। কিন্তু সেখানে পৌঁছেও মিলছে না স্বস্তি। দিল্লির ঘন কুয়াশা আর বিষাক্ত ধোঁয়াশা থেকে বাঁচতে উত্তরাখণ্ডের রাজধানীতে এসে পর্যটকরা দেখছেন, সেখানকার বাতাসের মানও আশঙ্কাজনকভাবে নেমে গেছে। বুধবার দেহরাদুনের বায়ু গুণমান সূচক বা একিউআই ঘোরাফেরা করছে ২৬০ থেকে ৩০০-র আশেপাশে। যা পরিবেশবিদদের ভাষায় অত্যন্ত উদ্বেগের।

দুন বিশ্ববিদ্যালয়ের দূষণ নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের প্রধান অধ্যাপক বিজয় শ্রীধর জানিয়েছেন, দিনের বেলা বাতাসের চলাচলের কারণে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও সূর্যাস্তের পর দূষণের মাত্রা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। অনেক জায়গায় রাতের বেলা একিউআই ৩০০ ছাড়িয়ে যাচ্ছে, যা শহরটিকে দূষিত এবং মারাত্মক দূষিত পর্যায়ের মাঝামাঝি এক ধূসর অঞ্চলে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত ১৭ লক্ষ মানুষের এই শহরে একসময় পর্যটকরা আসতেন বুক ভরে নির্মল অক্সিজেন নিতে। কিন্তু বর্তমানে শহরের আকাশ ঢেকেছে ধোঁয়াশায়, এমনকি মাস্ক পরে রাস্তায় বের হতে দেখা যাচ্ছে স্থানীয় তরুণদেরও।

বিশেষজ্ঞদের মতে, অপরিকল্পিতভাবে যানবাহন বৃদ্ধি, যত্রতত্র আবর্জনা পোড়ানো, অনিয়ন্ত্রিত নির্মাণ কাজ এবং বনের অগ্নিকাণ্ডই দেরাদুনের এই অবস্থার জন্য দায়ী। যদিও দিল্লির তুলনায় এই দূষণ এখনো কিছুটা কম, তবুও পর্যটকদের প্রত্যাশা আর প্রাপ্তির মধ্যে তৈরি হয়েছে বিশাল ব্যবধান। 

এরই মাঝে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গড়করি জানিয়েছেন, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে দিল্লি-দেরাদুন এক্সপ্রেসওয়ে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হতে পারে। এর ফলে দুই শহরের যাতায়াতের সময় ছয় ঘণ্টা থেকে কমে মাত্র দুই ঘণ্টায় নেমে আসবে। তবে যাতায়াত সহজ হলেও পাহাড়ের এই দূষিত বাতাস পর্যটকদের মনে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

সূত্র: এনডিটিভি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here