আবুধাবির আইপিএল নিলামের মঞ্চে এবার এক অভাবনীয় চিত্রনাট্য রচিত হলো, যেখানে গ্ল্যামারাস বিদেশি তারকাদের ছাপিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এলেন ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের একঝাঁক তরুণ প্রতিভা। একটা সময় ছিল যখন নিলামের টেবিল মানেই বিদেশি ক্রিকেটারদের জন্য কোটি রুপির ছড়াছড়ি আর ঘরোয়া ক্রিকেটারদের জন্য ছিল কেবল পড়ে থাকা সুযোগের অপেক্ষা।
কিন্তু ২০২৫ সালের নিলামে সেই প্রথা ভেঙে ১০টি ফ্র্যাঞ্চাইজি ঝাঁপিয়েছে ভারতের অখ্যাত এবং অনামী প্রতিভাদের জন্য। কার্তিক শর্মা ও প্রশান্ত বীরের মতো তরুণদের জন্য চেন্নাই সুপার কিংসের ১৪ কোটি ২০ লক্ষ রুপির বাজি কিংবা জম্মু-কাশ্মীরের আকিব দারের জন্য দিল্লির ৮ কোটি ৪০ লক্ষ রুপির লড়াই প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, আইপিএলের দর্শন এখন বদলে গেছে।
চেন্নাইয়ের কোচ স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের কথাতেই স্পষ্ট, দলগুলো এখন আর কেবল উপস্থিত সাফল্যের দিকে তাকাচ্ছে না বরং ভবিষ্যতের সম্পদ তৈরিতে আগ্রহী। কেকেআর-এর কেনা তেজস্বী সিংয়ের ১৭০ স্ট্রাইক রেট কিংবা মধ্যপ্রদেশের মঙ্গেশ যাদবের নিখুঁত ইয়র্কার এখন আর স্কাউটদের নজর এড়ায় না।
দিল্লি, পাঞ্জাব বা উত্তরপ্রদেশের টি-টোয়েন্টি লিগগুলো এখন নতুন প্রতিভাদের আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স যেভাবে বুমরাহ বা হার্দিককে খুঁজে এনেছিল, এখন সেই পথেই হাঁটছে বাকি নয়টি দল। এই তরুণ ক্রিকেটাররা সাধারণ মানুষের কাছে অপরিচিত হতে পারেন। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর সারা বছরের সূক্ষ্ম বিশ্লেষণে তাঁরাই এখন হট কেক। মূলত ভারতের অভ্যন্তরীণ টি-টোয়েন্টি লিগগুলোর প্রসারের ফলেই আজ অনামী ক্রিকেটারেরা রাতারাতি কোটিপতি হয়ে উঠছেন। আইপিএল পরিণত হচ্ছে বিশ্ব ফুটবলের রিয়াল মাদ্রিদ বা বার্সেলোনার মতো এক বিশাল ট্যালেন্ট হান্ট প্ল্যাটফর্মে।

