মাসিক সচেতনতা দিবস আজ

0

আজ ২৮ মে, বিশ্ব মাসিক সচেতনতা দিবস। আমরা সবাই জানি, ৯ থেকে ১৩ বছরের বয়সন্ধিতে শুরু হয় মেয়েদের জীবনের এই বিশেষ অধ্যায়। যা ৪৫ থেকে ৫০ বছর পর্যন্ত চলমান থাকে। প্রতিটি মাসের এই বিশেষ সময়ে মেয়েদের খাদ্য তালিকার প্রতি আরও গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। এই রক্তক্ষয় পূরণের জন্য খাদ্য তালিকায় থাকতে হবে প্রচুর পরিমাণে উন্নতমানের প্রোটিন, আয়রন, ভিটামিন সি এবং তরল জাতীয় খাবার। খাদ্য তালিকায় মাছ, মাংস, ডিম, দুধের পরিমাণ বাড়াতে হবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন শস্য, বিচি জাতীয় খাবার চাল-ডালের মিশ্রণে তৈরি খিচুড়ি, বিভিন্ন রকম বাদাম হতে পারে এ সময়ের জন্য উপযোগী খাবার। 

যারা মাছ, মাংস, ডিম, দুধ যথেষ্ট পরিমাণে খাদ্য তালিকায় রাখতে পারছেন না, তাদের প্রোটিনের চাহিদা পূরণের জন্য নির্ভর করতে হবে উদ্ভিজ প্রোটিন জাতীয় খাবারের ওপর। আয়রন এ সময়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য উপাদান যা থাকতে হবে খাদ্য তালিকায়। মাছ, মাংস, কলিজা, ডাল শিমের বিচি ইত্যাদি থেকে আমরা পেয়ে থাকি আয়রন। এই আয়রন Absonbtion-এর জন্য প্রয়োজন ভিটামিন সি। দেশীয় মৌসুমি টক জাতীয় ফল হচ্ছে ভিটামিন সি’র আদর্শ উৎস। মাসিক চলাকালীন অনেকেই বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক সমস্যার সম্মুখীন হন। অনেকেই তলপেটে ব্যথা অনুভব করেন। এ ছাড়াও হাতে-পায়ে পানি চলে আসা, মাংসপেশিতে ব্যথা, বিষণ্নতা বোধ, হঠাৎ রেগে যাওয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, urine infection ইত্যাদি থাকতে পারে পাশাপাশি।

এ সময় ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরণে খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে দুধ জাতীয় খাবার, সামুদ্রিক মাছ এবং দৈনিক অন্তত ৩০ মিনিট সূর্যের আলো।

এ ছাড়াও লক্ষ্য রাখতে হবে অতিরিক্ত তেলে তাজা খাবার, Fast food ট্রান্সফ্যাটযুক্ত বেকারির খাবার, চকোলেট এবং চা-কফি এড়িয়ে চলতে হবে এ সময়ে। যা মাসিকের সময়ে শারীরিক ও মানসিক সমস্যার মাত্রা অনেকটা কমিয়ে আনবে। একটি ব্যালেন্সড খাদ্যতালিকা প্রতিটি নারীর মাসের এই বিশেষ সময়টিতে করে তুলতে পারে স্বাস্থ্যসম্মত ও অন্যান্য দিনের মতো স্বাভাবিক।

লেখক: চিফ ক্লিনিক্যাল ডায়টেশিয়ান ও বিভাগীয় প্রধান
ইউনাইটেড হসপিটাল লি.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here