বিবিসির চোখে ২০২৫ সালে জলবায়ু ক্ষেত্রে সাতটি নীরব অর্জন

0
বিবিসির চোখে ২০২৫ সালে জলবায়ু ক্ষেত্রে সাতটি নীরব অর্জন

চলতি ২০২৫ সালের পরিবেশগত পটভূমি সবারই জানা। কার্বন নির্গমন বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে প্রকৃতি। তবুও ২০২৫ সালের কিছু উজ্জ্বল দিক রয়েছে। এ বছর পরিচ্ছন্ন শক্তি, সংরক্ষণ এবং আদিবাসী অধিকারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পদক্ষেপ জলবায়ু এবং প্রকৃতির জন্য কিছু বাস্তব ইতিবাচক ফলাফলের দিকে পরিচালিত করেছে।

সংবাদ চক্রের ব্যাপক ভিড়ের মধ্যে এই নীরব অগ্রগতিগুলো হয়তো আড়ালেই রয়ে গেছে। তাই, নবায়নযোগ্য শক্তির নাটকীয় উত্থান থেকে শুরু করে বিপন্ন কচ্ছপ ও বাঘের প্রত্যাবর্তনসহ ২০২৫ সালে অর্জিত সাতটি মাইলফলক নিয়ে বিশ্লেষণ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্রমবর্ধমান উৎপাদন

এ বছর বায়ু, সৌর এবং অন্যান্য নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎস কয়লাকে ছাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় বিদ্যুৎ উৎসে পরিণত হয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী প্রবৃদ্ধির পেছনে চীনের অবদান রয়েছে। কেননা, দেশটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানি উৎপাদন ব্যাপকভাবে সম্প্রসারণ করছে এবং পরিচ্ছন্ন জ্বালানি প্রযুক্তি রফতানিতে আধিপত্য বিস্তার করছে। সৌরশক্তিতে বিশাল প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি, চীন টাইফুন-প্রতিরোধী বায়ু খামারের মাধ্যমে প্রবল ঝড়ের শক্তিও ব্যবহার করছে।

অন্যান্য দেশগুলোতেও বায়ু শক্তি ব্যবহারে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখা গেছে। যুক্তরাজ্যে, ২০২৫ সালের একটি পর্যালোচনায় দেখা গেছে, আগের বছর বায়ু বৃহত্তম একক শক্তির উৎস হয়ে উঠেছে দেশটিতে, যা চাহিদার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পূরণ করে। অন্যদিকে বিদ্যুৎ উৎস হিসেবে কয়লা কার্যত অদৃশ্য হয়ে গেছে। এছাড়াও উত্তরাঞ্চলে বিশ্বের বৃহত্তম তরল-বায়ু-ব্যাটারি স্টোরেজ সুবিধা বানানো শুরু করেছে দেশটি। এর মাধ্যমে পর্যাপ্ত বাতাস অথবা সূর্যের আলো না থাকলে পরিচ্ছন্ন শক্তি সংরক্ষণ করতে পারবে যুক্তরাজ্য।

বিশ্বব্যাপী ৮০ শতাংশেরও বেশি দেশে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধির হার ত্বরান্বিত হচ্ছে। আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থার মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে, সামগ্রিক নবায়নযোগ্য শক্তির সক্ষমতা বিদ্যমান স্তরের তুলনায় দ্বিগুণ হবে।

এই প্রবৃদ্ধির বেশিরভাগই চীনের উপর নির্ভরশীল। কার্বন ব্রিফের একটি বিশ্লেষণ অনুসারে, দেশটির পরিচ্ছন্ন শক্তি অভিযানের ফলে এ বছর প্রথমবারের মতো কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন হ্রাস পেয়েছে। ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত ১২ মাস দেশটির কার্বন নির্গমন হ্রাস পেয়েছে। যদিও এখনই এ বিষয়ে চূড়ান্ত মতামত দেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। কেননা, এখনও দেশটি কার্বন নির্গমনে শীর্ষ অবস্থানে থাকতে পারে এবং আরেকটি কার্বন ব্রিফ বিশ্লেষণ অনুসারে, বছরের শেষের দিকে এই প্রবণতা বজায় থাকবে।
অবশ্য, চীন কার্বন নির্গমন হ্রাস নিয়ে নিজের প্রতিশ্রুতি আপডেট করেছে। যদিও অন্যান্য অনেক দেশ জাতিসংঘের জলবায়ু আলোচনার আগে তাদের নতুন প্রতিশ্রুতি জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।

বৈশ্বিক জ্বালানি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এম্বারের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, তবুও সামগ্রিকভাবে চীনের পরিচালিত বিশ্বের পরিচ্ছন্ন শক্তির উত্থান, বিশ্বব্যাপী শীর্ষে পৌঁছানোর এবং শক্তি-সম্পর্কিত জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের হ্রাসের পরিস্থিতি তৈরি করছে। যদিও পরিচ্ছন্ন শক্তির বৃদ্ধি ব্যাপক ত্বরান্বিত হচ্ছে, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের বিপজ্জনক স্তর এড়াতে এটি যথেষ্ট নয়।

মহাসাগর সুরক্ষা

বিশ্বের মহাসাগরের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই জাতীয় এখতিয়ারের তথা কোনও দেশের বৈধ মালিকানার বাইরে অবস্থিত উচ্চ সমুদ্র ও জলরাশি দ্বারা গঠিত।

এই বিশাল এলাকার মাত্র ১ শতাংশ সুরক্ষিত। তবে এই চিত্র পরিবর্তন হচ্ছে। কয়েক দশক ধরে আলোচনার পর, অবশেষে ২০২৩ সালে উচ্চ সমুদ্র রক্ষার জন্য দেশগুলো একটি বৈশ্বিক চুক্তির ব্যাপারে সম্মত হয় এবং ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে তা কার্যকর করার লক্ষ্যে যথেষ্ট সংখ্যক দেশ দ্বারা এটি অনুমোদিত হয়।

এই উচ্চ সমুদ্র চুক্তি বিশাল এই জলরাশির ৩০ শতাংশ সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকায় (এমপিএ) আবাসস্থল, বিভিন্ন প্রজাতি এবং সুস্থ সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষার জন্য নিবেদিত সমুদ্রের কিছু অংশের প্রতিশ্রুতি দেয়।

জাতীয় জলরাশিতে অবস্থিত মহাসাগরগুলোতেও অতিরিক্ত সুরক্ষা দেখা গেছে। এই বছর ফরাসি পলিনেশিয়ার তাইনুই আতিয়ায় বিশ্বের বৃহত্তম সামুদ্রিক সুরক্ষিত এলাকা (এমপিএ) প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এর লক্ষ্য ১,১০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার (৪২৫,০০০ বর্গ মাইল) সমুদ্র রক্ষা করা।

বনের পরিবর্তন

ব্রাজিল এ বছর আমাজন রেইনফরেস্টে অনুষ্ঠিত প্রথম জাতিসংঘের বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলন কপ৩০ আয়োজন করে। এটি বনকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্মে পরিণত করেছে। ব্রাজিলের বেলেমে নভেম্বরের আলোচনাকে ‘বন কপ’ হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়।

ব্রাজিল যখন এটি সম্পূর্ণরূপে অনুসরণ করতে যথেষ্ট লড়াই করছিল, তখন দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যে বন উজাড় বন্ধ করার পূর্ববর্তী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য একটি ‘রোডম্যাপ’ পরিকল্পনা ঘোষণা করে, যা ৯০টিরও বেশি দেশের সমর্থন পায়। যদিও এটি শীর্ষ ওই সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক পাঠ্যের বাইরে এবং এর আইনি অবস্থান এখনও অনিশ্চিত।

ব্রাজিল বিদ্যমান বনাঞ্চলগুলোকে রক্ষার জন্য একটি তহবিল প্ল্যাটফর্মও প্রতিষ্ঠা করেছে, যার নাম ট্রপিক্যাল ফরেস্টস ফরেভার ফ্যাসিলিটি (টিএফএফএফ)। এর লক্ষ্য হলো- গ্রীষ্মমন্ডলীয় বন ধ্বংসের চেয়ে রক্ষণাবেক্ষণ বেশি মূল্যবান। একই সঙ্গে যারা বন রক্ষায় সফল এবং যাচাইকৃত বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে, তাদের জন্য আর্থিক পুরষ্কার ঘোষণা করা। এটি অন্যান্য অনেক বন তহবিলের থেকে আলাদা। কেননা, ওই সব তহবিল মূলত বনাঞ্চল রক্ষণাবেক্ষণের চেয়ে কার্বন নির্গমন হ্রাসকে উৎসাহিত করে। এর লক্ষ্যমাত্রা ১২৫ বিলিয়ন ডলার, যদিও তহবিলে এখন পর্যন্ত মাত্র ৬.৭ বিলিয়ন ডলারের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে।

এই বছর স্থলভাগের বন উজাড়ের বিষয়ে আশার লক্ষণ দেখা গেছে। ব্রাজিলের সরকারি তথ্যানুযায়ী, ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত ১২ মাসে আমাজনের অংশে বন উজাড় ১১ শতাংশ কমেছে, যা ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন। জীববৈচিত্র্যের আরেকটি আকর্ষণীয় স্থান, ব্রাজিলের সেরাডো বাস্তুতন্ত্রেও বন উজাড় কমেছে। একইভাবে, এনজিও ইমাজনের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ সালের অক্টোবরের তুলনায় ২০২৫ সালের অক্টোবরে ব্রাজিলের আমাজনে বন উজাড় ৪৩ শতাংশ কমেছে।

জাতিসংঘের ২০২৫ সালের একটি প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বব্যাপী ১৯৯০-২০০০ সালের তুলনায় ২০১৫-২৫ সময়কালে বার্ষিক বন উজাড়ের হার ৩৮ শতাংশ কম ছিল, যার অর্ধেকেরও বেশি বন এখন দীর্ঘমেয়াদী ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার আওতায় রয়েছে। 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় এক কোটি ৯ লাখ হেক্টর (২ কোটি ৬৯ লাখ একর) জমি- যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেভাদা রাজ্যের সমান- এখনও উজার করা হচ্ছে।

একটি যুগান্তকারী আইনি মামলা

বিশ্বের সর্বোচ্চ আদালত হিসেবে বিবেচিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালত (আইসিজে) এ বছর একটি যুগান্তকারী নির্দেশনা জারি করেছেন, যার ফলে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দেশগুলোর একে অপরের বিরুদ্ধে মামলা করার পথ পরিষ্কার হয়ে গেছে। এই পদক্ষেপ জলবায়ু পরিবর্তনের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত দেশগুলোকে দূষণকারী দেশগুলোর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে সহায়তা করতে পারে।

যদিও এই নির্দেশনা আইসিজের জন্য এবং দেশীয় আদালতের জন্য বাধ্যতামূলক নয়, তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আইসিজের মতামতগুলো উল্লেখযোগ্য গুরুত্ব বহন করে এবং অন্যত্র (আইসিজের বাইরে) জলবায়ু মামলাগুলো যেভাবে পরিচালনা করা হয় তার উপর যথেষ্ট প্রভাব রাখতে পারে।

সে সময় সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল এনভায়রনমেন্টাল ল’-এর সিনিয়র অ্যাটর্নি জোই চৌধুরী আইসিজের মতামতকে ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি মুহূর্ত’ হিসেবে স্বাগত জানান।

বন্যপ্রাণীর জন্য জয়

এ বছর বেশ কিছু বিপন্ন প্রজাতির উল্লেখযোগ্য প্রত্যাবর্তন ঘটেছে। এটি প্রমাণ করে, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি ধীর বা বিপরীত করার জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা কতটা কার্যকর হতে পারে।

একসময় ডিম এবং আলংকারিক খোলসের জন্য শিকার করা সবুজ কচ্ছপগুলোকে বিলুপ্তির দ্বারপ্রান্ত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েক দশক ধরে সংরক্ষণ প্রচেষ্টার সুবাদে, সৈকতে বাচ্চা ছেড়ে দেওয়া থেকে শুরু করে মাছ ধরার জালে দুর্ঘটনাক্রমে ধরা পড়ার ঘটনা কমানো প্রভৃতির মাধ্যমে সবুজ কচ্ছপের সংখ্যা আবার বেড়েছে। এই বছর প্রজাতিটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর দ্য কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) রেড লিস্টে ‘বিপন্ন’ থেকে ‘সর্বনিম্ন উদ্বেগের’ রেটিংয়ে স্থানান্তরিত হয়েছে।

এ বছর কচ্ছপের জন্য আরেকটি সুসংবাদ হলো, যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা রেকর্ড-সংখ্যক সামুদ্রিক কচ্ছপের বাসা বাঁধার মৌসুম দেখেছে, যেখানে দুই হাজারেরও বেশি ‘লেদারব্যাক’ বাসা দেখা যায়।

এদিকে, ভারত এখন বিশ্বের ৭৫ শতাংশ বাঘের আবাসস্থল, মাত্র এক দশকেরও কিছু বেশি সময়ের মধ্যে দেশটির বাঘের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে তিন হাজার ৬০০-এরও বেশি হয়েছে, যেগুলো ১৩৮,২০০ বর্গ কিলোমিটার (৫৩,৪০০ বর্গ মাইল) বিস্তৃত এলাকায় বাস করে- যা যুক্তরাজ্যের প্রায় অর্ধেক। ভারতে বাঘের শিকার এবং আবাসস্থলের ক্ষতি থেকে রক্ষা করার জন্য এবং মানুষের সঙ্গে সংঘাত কমানোর জন্য অনেক কাজ করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই প্রচেষ্টা মূল্যবান শিক্ষা প্রদান করে এবং বিশ্বের বাকি অংশকে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, সংরক্ষণ কীভাবে বাঘকে রক্ষা করতে, জীববৈচিত্র্য বৃদ্ধি করতে পারে এবং স্থানীয় সম্প্রদায়কে সমর্থন করতে পারে।

আদিবাসী উন্নয়ন

এ বছর আদিবাসীদের আনুষ্ঠানিকভাবে জাতিসংঘ পর্যায়ে ‘গ্রহের সুরক্ষা এবং পরিচালনার নেতা (Leaders in planet protection and stewardship )’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের কপ১৬ জীববৈচিত্র্য শীর্ষ সম্মেলনের সমাপনী অংশে, সংরক্ষণের বিষয়ে বিশ্বব্যাপী সিদ্ধান্ত গ্রহণে আদিবাসীদের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেওয়া হয়। একটি নতুন স্থায়ী কমিটির চুক্তি এই অধিকারকে প্রতিষ্ঠিত করে, আলোচনায় আদিবাসীদের পূর্বে অনানুষ্ঠানিক এবং প্রতীকী মর্যাদাকে স্থায়ী এবং আনুষ্ঠানিক কিছু দিয়ে প্রতিস্থাপন করে।

ব্রাজিলে কপ৩০ জলবায়ু সম্মেলনে পূর্বপুরুষদের জ্ঞানের গুরুত্বের উপর জোর দেওয়া হয়। এখানেও আদিবাসীদের কণ্ঠস্বর কপ ইতিহাসে তাদের বৃহত্তম প্রতিনিধিদল দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয়, যেখানে আনুমানিক আড়াই হাজার আদিবাসী অংশগ্রহণ করেন।

জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনের সময় জয়ের মধ্যে রয়েছে- নতুন তহবিল প্রতিশ্রুতি গ্রহণ এবং আদিবাসী ভূমি অধিকার স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। শুধুমাত্র ব্রাজিলেই, ১০টি নতুন আদিবাসী অঞ্চল তৈরি হয়েছে। তবে প্রতিশ্রুতিগুলো প্রকৃত পরিবর্তনে রূপান্তরিত হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনও উদ্বেগ রয়ে গেছে। কেননা, অনেক আদিবাসী সম্প্রদায়ের জন্য হুমকি এখনও অব্যাহত রয়েছে। সারভাইভাল ইন্টারন্যাশনালের তথ্যানুযায়ী, সম্মেলনের সময় ব্রাজিলের দক্ষিণে গুয়ারানি কাইওওয়া নেতার সহিংস মৃত্যু হয়েছে।

ক্লামাথ পুনরুদ্ধার

যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ক্লামাথ নদীর তীরে চারটি বাঁধ অপসারণের মাত্র এক বছর পর, স্যামন মাছ তাদের ঐতিহ্যবাহী প্রজননক্ষেত্রে ফিরে এসেছে।

ক্যালিফোর্নিয়ার মৎস্য ও বন্যপ্রাণী বিভাগের ক্লামাথ জলাশয় কর্মসূচির পরিবেশ ব্যবস্থাপক মাইকেল হ্যারিস স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এই মুহূর্তে ভূদৃশ্যে সর্বত্র স্যামন মাছ রয়েছে। তাদের প্রত্যাবর্তনের গতি অসাধারণ।”

কয়েক প্রজন্ম ধরে ওই নদীর উজানের অঞ্চল থেকে স্যামন আসা বন্ধ ছিল। ২০২৪ সালে উপজাতিদের নেতৃত্বে একটি অভিযানে চারটি জলবিদ্যুৎ বাঁধ ভেঙে ফেলা হয়- যা কয়েক দশক ধরে নদীটিকে মারাত্মকভাবে দূষিত করছিল। এর ফলে শক্তিশালী ক্লামাথ নদীতে আবারও অবাধে মাছ প্রবাহিত হতে শুরু করে। সূত্র: বিবিসি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here