ভারতে তিন দিনের সফর শেষ করে দেশ ছাড়ছেন লিওনেল মেসি। দিল্লিতে ভক্তদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে আর্জেন্টাইন মহাতারকা জানিয়ে গেলেন, সুযোগ পেলে তিনি আবারও ভারতে ফিরবেন।
সোমবার দিল্লির আরুন জেটলি স্টেডিয়ামে মেসিকে এক নজর দেখতে দুপুর থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন হাজার হাজার দর্শক। কুয়াশার কারণে মুম্বাই থেকে দিল্লির ফ্লাইট কিছুটা দেরিতে পৌঁছালেও বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ইন্টার মায়ামির সতীর্থ লুইস সুয়ারেস ও রদ্রিগো দে পলকে নিয়ে স্টেডিয়ামে হাজির হন মেসি। মাঠে নামতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো স্টেডিয়াম।
স্টেডিয়ামে উপস্থিত দুই দলের ফুটবলারদের সঙ্গে করমর্দন ও ছবি তোলার পাশাপাশি কয়েকটি বল গ্যালারিতে কিক মারেন মেসি-সুয়ারেসরা। কিছু সময় তারা খুদে ফুটবলারদের সঙ্গেও খেলেন।
এরপর মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে মেসিকে স্বাগত জানান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী রেখা গুপ্তা। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন আইসিসি সভাপতি ও বিসিসিআইয়ের সাবেক সচিব জয় শাহ। জয় শাহ মেসির হাতে আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠেয় ভারত–যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের টিকিট তুলে দেন। পাশাপাশি ভারতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যদের সই করা একটি ব্যাট ও জাতীয় দলের জার্সিও উপহার দেওয়া হয় তিন ফুটবলারকে।
প্রায় আধা ঘণ্টা মাঠে থাকার পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মেসি বলেন,’ভারতে এই কয়েক দিনে যে ভালোবাসা ও সম্মান পেয়েছি, তার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ। এটি আমাদের জন্য দারুণ একটি অভিজ্ঞতা। আমরা এই ভালোবাসা হৃদয়ে ধারণ করব। আশা করি একদিন ম্যাচ খেলতে কিংবা অন্য কোনো অনুষ্ঠানে আবার ভারতে ফিরতে পারব।’
এর আগে শোনা গেলেও শেষ পর্যন্ত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা হয়নি মেসির। পূর্বনির্ধারিত বিদেশ সফরের কারণে সোমবার সকালেই দেশ ছাড়েন মোদী। সোমবার রাতেই ভারত ছাড়ার কথা মেসি ও তার সঙ্গীদের।
‘গোট ইন্ডিয়া ট্যুর’-এর অংশ হিসেবে গত শুক্রবার রাতে কলকাতায় পৌঁছান মেসি। শনিবার সল্টলেক স্টেডিয়ামে তাকে দেখতে গিয়ে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়, যা নিয়ে পরে তদন্তের ঘোষণা দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এরপর হায়দরাবাদে সুশৃঙ্খল আয়োজনে দর্শকদের মাতান মেসি, যেখানে তার সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
মুম্বাইয়ে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে সফরের সময় বলিউড তারকাদের সঙ্গে দেখা করেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। সেখানে কিংবদন্তি সাচিন টেন্ডুলকার মেসিকে উপহার দেন নিজের ২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের ১০ নম্বর জার্সি।

