বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহাকে ঘিরে সমালোচনার মাত্রাটা যেন অন্য সবার চেয়ে একটু বেশিই। এই অভিনেত্রীর শারীরিক গঠন, ব্যক্তিজীবন কোনোটাই বাদ যায় না সমালোচকের তিরের আঘাত থেকে। এবার যেন ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল। অবশেষে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললেন ‘দাবাং’ কন্যা।
সম্প্রতি মুম্বাইয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এই গুরুতর বিষয়টি উত্থাপন করেন। তার মন্তব্যের ভিডিও ক্লিপটি এখন বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
অন্তর্জালে মানুষের ওপর এই ‘খোলা আক্রমণ’ বিষয়টি তাকে সবচেয়ে বেশি বিচলিত করেছে বলে জানান সোনাক্ষী। তিনি বলেন, যে জিনিসটা নিয়ে আমার আরও অসুবিধা হচ্ছে, সেটা হলো অনলাইনে মানুষের ওপর এই খোলা আক্রমণ। এটা অভিনেতা থেকে শুরু করে সমালোচক—সবার সঙ্গেই ঘটছে।
অভিনেত্রী মনে করেন, এই বিষয়টির অবসান ঘটাতে এবং এর একটি সমাধান খুঁজতে আমাদের সকলের কাজ করা উচিত। তার কথায়, যে কেউ যেকোনো জায়গায় বসে আপনাকে যা খুশি বলে দিচ্ছে এবং মানুষের এতে খুব বেশি কিছু করার থাকছে না। আমার মনে হয়, এটি নিয়ন্ত্রণ করতে এবং এর ওপর নজর রাখতে আমাদের কঠোর আইন প্রণয়ন করা দরকার।
সোনাক্ষী স্পষ্ট জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত আক্রমণ ও বিদ্বেষমূলক মন্তব্যের মাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যেখানে একা দাঁড়িয়ে এর মোকাবিলা করা প্রায় অসম্ভব।
তিনি বলেন, আমি মনে করি, সব সময়ই নেতিবাচকতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা জরুরি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এখন নেতিবাচকতার পরিমাণ এতটাই বেশি যে একজন মানুষ হিসেবে এর বিরুদ্ধে লড়াই করা যায় না। বিষয়টা সত্যিই সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরও জানান, সামাজিকমাধ্যম খুললেই নেতিবাচক মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়, যা মানসিকভাবে ক্লান্তিকর।
অভিনেত্রীর ভাষায়, পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে প্রতিনিয়ত লড়াইয়ের বদলে অনেকসময় এড়িয়ে যাওয়াই ভালো মনে হয়। সোশ্যাল মিডিয়া খুললেই সব নেতিবাচকতা সামনে হাজির হয়। কত আর লড়বেন?
তবে একটি বিষয়ে একেবারেই অনড় সোনাক্ষী। তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, পরিবারকে লক্ষ্য করে আক্রমণ এলে তিনি কখনোই নীরব থাকবেন না।
অভিনেত্রী বলেন, যদি কোনো মন্তব্য একেবারেই অসহনীয় হয়ে ওঠে কিংবা আমার পরিবারকে উদ্দেশ্য করে কিছু বলা হয়, যা আমি মেনে নিতে পারি না, তখন আমি অবশ্যই প্রতিবাদ করব। প্রয়োজন হলে প্রত্যেকেরই নিজের জন্য রুখে দাঁড়ানো উচিত।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর তেলেগু সিনেমায় অভিষেক ঘটেছে সোনাক্ষীর। ‘জটাধারা’তে খল চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। ছবিটি পরিচালনা করেছেন অভিষেক জয়সওয়াল এবং ভেঙ্কট কল্যাণ। এতে প্রধান চরিত্রে ছিলেন সুধীর বাবু। ছবির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শিল্পা শিরোদকর।

