ভাসমান বেডে সবজি চাষ দেখে মুগ্ধ ইসিমুড সদস্যরা

0

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দেবগ্রাম আশ্রয়ণ প্রকল্পের সামনের প্রবাহমান খালে কচুরিপানার ভাসমান বেডে সবজী চাষাবাদ করা হয়েছে। এই মডেল আশ্রয়ণ প্রকল্পের নারীরা হস্ত শিল্পে পণ্যও উৎপাদন করছেন। দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানামুখী উদ্যোগ ও কৃষি উন্নয়ণ কর্মসূচি জোরদারকরণ প্রকল্প এখানে বাস্তবায়িত হয়েছে। 

ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট (ইসিমুড) এর প্রতিনিধি দলের সদস্যরা সম্প্রতি এই আশ্রয়ণ প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন। তারা  কৃষির এই  প্রযুক্তির ভূয়সী প্রশংশা করেছেন। এই প্রযুক্তি তাদের দেশে বাস্তবায়নের ইচ্ছা পোষণ করেন। একই সঙ্গে তারা আশ্রয়ণের নারীদের হস্তশিল্পের পণ্য উৎপাদন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গোপালগঞ্জ খামারবাড়ির উপ-পরিচালক আ. কাদের সরদার জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজ নির্বাচনী এলাকা  গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার দেবগ্রাম মডেল আশ্রয়ণ কেন্দ্রে কৃষি বিভাগের আধুনিক ভাসমান কৃষি প্রযুক্তি পরিদর্শনে আসেন ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভেলপমেন্ট (ইসিমুড) এর নেপাল, ভূটান, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন, সুইজ্যারল্যান্ডসহ সদস্য ১৪টি দেশের ৩৪ জন প্রতিনিধি। এসময় তারা ভাসমান কৃষি প্রযুক্তির পাশাপাশি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত আশ্রয়ণের ঘর ও বাসিন্দাদের জীবন যাপনচিত্র পরিদর্শন করেন। তারা এর  ভূয়সী প্রশংশা করেন। এছাড়া তারা তাদের নিজ-নিজ দেশে ভাসমান  পদ্ধতিতে চাষাবাদের ইচ্ছা পোষণ করেন।  

ইসিমুড’র প্রতিনিধিদের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহপ্রদানসহ প্রধানমন্ত্রীর নানামুখী উদ্যোগের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত উন্নয়ন প্রতিনিধি মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। 

তিনি প্রতিনিধি দলের সদস্যদের বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। অচিরেই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হবো। ২০৪১ সালের মধ্যে আমাদের দেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। তাই আমাদের দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখা ও তার স্বীকৃতি দিতেই বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন প্রতিনিধি দল এখন আমাদের দেশে এসেছেন।
 
তিনি আরও বলেন, এই প্রতিনিধি দল আমাদের দেশের এ ধরণের আশ্রয়ণ প্রকল্প ও ভাসমান বেডে চাষাবাদ দেখে খুশী হয়েছেন। তারা নিজ-নিজ দেশে গিয়ে এই প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করবেন বলে আমাদেরকে জানিয়েছেন। 

প্রতিনধি দলের সদস্য ভূটানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ড. কিন জাং দর্জি বলেন, দরিদ্র মানুষের জীবনমান উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নানামুখী উদ্যোগ ও কৃষি উন্নয়ন কর্মসূচি জোরদারকরণ প্রকল্প ইসিমুড’র সদস্য দেশগুলোর উপকারে আসবে। তিনি এই উদ্যোগের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

প্রতিনধি দলের সদস্য ভূটানের সাবেক কৃষিমন্ত্রী ও বিরোধী দলীয় নেতা প্রেমা গ্যাম সু বলেন, এটি কৃষির একটি নতুন টেকনোলজি। এটি আমাদের জন্য লারিং। আমাদের দেশে যে সব জলমগ্ন অঞ্চল রয়েছে, সেখানে আমরা এই টেকনেলজি ব্যবহার করবো। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে এই দেশের মানুষ এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখেনি। তারা ফসল ফলিয়েছে। তাই আমি বাংলাদেশের মানুষকে ধন্যবাদ জানাই। 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here