ঠিক যেন পুনর্মিলন অনুষ্ঠান।আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে আইপিএল ২০২৩-এর ফাইনালের আগে চেন্নাই সুপার কিংসের (সিএসকে) সাবেকরা মিলেমিশে একাকার হয়ে গেলেন বর্তমান ক্রিকেটারদের সঙ্গে। চলল বিস্তর হুল্লোড়। হাসি-ঠাট্টা, আলিঙ্গনের এক ভিডিও সিএসকে পোস্ট করে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
আসলে আইপিএল ফাইনালের জন্য যারা আহমেদাবাদে উপস্থিত রয়েছেন বর্তমানে সুপার কিংস শিবিরের শরিক না হলেও অতীতে তাদের অনেকেই সিএসকের সেনানি ছিলেন। প্রতিপক্ষ দল গুজরাট টাইটানসের হেড কোচ আশিস নেহরা নিজে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে মাঠে নেমেছেন। ধারাভাষ্যকারের ভূমিকা পালন করা সুরেশ রায়না, ম্যাথিউ হেডেনরা দীর্ঘদিন চেন্নাইয়ের জার্সি গায়ে চাপিয়েছেন।
সুরেশ রায়না সঙ্গত কারণেই আইপিএল ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে বাজি ধরছেন। তিনি বলেন, ‘চেন্নাই কীভাবে ফাইনালে উঠেছে দেখুন একবার। ১৪টি মৌসুমে মাঠে নেমে ১০ বার ফাইনাল খেলছে। আমার মতে এটা অসাধারণ কৃতিত্ব। এমএস ধোনি সব কিছু সহজ সরল করে রাখে। ওর কৃতিত্ব প্রাপ্য। রুতুরাজ গায়কোয়াড় আমাকে জানায় যে, ওরা ধোনির জন্যই এবছর খেতাব জিততে চায়। সারা ভারত ধোনির হাতে ট্রফি দেখতে চায়।’
রায়না আরও বলেন, ‘যা দেখতে পাচ্ছি, এই মাঠে চেন্নাইকে হারানো সহজ হবে না। ও যা ছুঁয়েছে, সোনায় পরিণত হয়েছে। সেকারণেই ওর নাম মহেন্দ্র সিং ধোনি।’
উল্লেখ্য, চেন্নাই লিগ পর্বে ১৪টি ম্যাচের মধ্যে ৮টি ম্যাচে জয় তুলে নেয়। তাদের ১টি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেস্তে যায়। ১৭ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে থাকেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। সেই সুবাদে সিএসকে প্রথম কোয়ালিফায়ারে মাঠে নামার সুযোগ পেয়ে যায়। পরে চিপকের প্রথম কোয়ালিফায়ারে গুজরাট টাইটানসকে হারিয়ে আইপিএলের ফাইনালে ওঠে চেন্নাই সুপার কিংস। এ নিয়ে মোট ১০ বার তারা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগের খেতাবি লড়াইয়ে মাঠে নামার যোগ্যতা অর্জন করে।