বায়ার্নের ১২ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড লিসবণ

0
বায়ার্নের ১২ মিনিটের ঝড়ে লণ্ডভণ্ড লিসবণ

প্রতিপক্ষের জালে ১২ মিনিটের মধ্যে তিনবার জালে বল পাঠালো বায়ার্ন মিউনিখ। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মঙ্গলবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচটি স্পোর্তিং লিসবণের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতেছে সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। পিছিয়ে পড়ার পর সমতা টানেন সের্গে জিনাব্রি। এরপর লেনার্ট কার্ল দলকে এগিয়ে নেন এবং একটু পর ব্যবধান বাড়ান জোনাথন টাহ।

আসরে প্রথম চার রাউন্ডে জয়ের পর গত ম্যাচে আর্সেনালের মাঠে ৩-১ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল বায়ার্ন। সেই হতাশা ঢাকতে এবার আক্রমণাত্মক শুরু করে তারা। ৬০ শতাংশের বেশি সময় পজেশন রেখে গোলের জন্য ২৩ শট নিয়ে ৯টি লক্ষ্যে রাখতে পারে তারা। আর স্পোর্তিং চারটি শট নিলেও একটিও লক্ষ্যে ছিল না। ছয় ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১৫ পয়েন্ট হলো বায়ার্নের। এক ম্যাচ কম খেলা আর্সেনাল সমান পয়েন্ট নিয়ে আছে শীর্ষে।

প্রথম ১০ মিনিটের একচেটিয়া আধিপত্যের মাঝে একবার জালে বলও পাঠায় বায়ার্ন। তবে অফসাইডের পতাকা তোলেন লাইন্সম্যান। তাদের আক্রমণ চলতে থাকে পরেও। ২৫ মিনিটের মধ্যেই গোলের জন্য আটটি শট নেয় দলটি, যদিও এর কেবল একটিই ছিল লক্ষ্যে। লক্ষ্যে প্রথম শটটি রাখতে পারেন সের্গে জিনাব্রি, ২৪তম মিনিটে তার ওই প্রচেষ্টা রুখে দেন গোলরক্ষক। এরপর কয়েকটি পাল্টা আক্রমণে বায়ার্নের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় স্পোর্তিং, তারাও অবশ্য তেমন কিছু করতে পারেনি।

ভাগ্য সহায় হলে ৩৭তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো স্বাগতিকরা। কিন্তু গত শনিবার স্টুটগার্টের বিপক্ষে বদলি নেমে ২২ মিনিটে হ্যাটট্রিক করা হ্যারি কেইনের শট পোস্টে বাধা পায়। বিরতির আগে অসাধারণ ড্রিবলিংয়ে একাধিক খেলোয়াড়কে কাটিয়ে, ডি-বক্সে ঢুকে শট নেন লেনার্ট কার্ল, তরুণ মিডফিল্ডারের প্রচেষ্টা ঠেকিয়ে সফরকারীদের সমতায় রাখেন রুই সিলভা।

দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হতে যেন গতি বেড়ে যায় স্পোর্তিংয়ের। ৫৪তম মিনিটে তাদের দারুণ একটি আক্রমণ রুখতে গিয়ে আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে বায়ার্ন। ছয় গজ বক্সের বাঁ দিক থেকে এক প্রতিপক্ষের কাটব্যাক আটকাতে গিয়ে নিজেদের জালে ঠেলে দেন জসুয়া কিমিখ।

পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা দ্রুতই সামলে নেয় বায়ার্ন। ৬৫তম মিনিটে মাইকেল ওলিসের কর্নারে দূরের পোস্টে ফাঁকায় বল পেয়ে ভলিতে সমতা টানেন জিনাব্রি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম ও মৌসুমে তার মোট গোল হলো পাঁচটি। চার মিনিট পরই কার্লের চমৎকার গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ডান দিক থেকে কনরাড লাইমারের ক্রস বাঁ পায়ের দারুণ ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে, ছয় গজ বক্সের ডানদিকে এগিয়ে যান তিনি। তাকে বাধা দিতে এগিয়ে যান স্পোর্তিংয়ের দুজন; তাদের কোনো সুযোগ না দিয়ে দুরূহ কোণ থেকে জোরাল শটে গোলটি করেন ১৭ বছর বয়সী ফুটবলার।

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অভিষেক আসরে চার ম্যাচ খেলে এই নিয়ে তিন গোল করলেন কার্ল। ডি-বক্সের একটু বাইরে ফ্রি কিক পেয়ে ৭৭তম মিনিটে দারুণ ক্রস বাড়ান কিমিখ। হেডে কাটব্যাক করেন জিনা্ব্রি আর ছুটে এসে নিচু শটে দলকে জয়ের পথে এগিয়ে নেন জার্মান ডিফেন্ডার টাহ। আসরে স্পোর্তিংয়ের এটা দ্বিতীয় পরাজয়। ছয় ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত নবম স্থানে আছে পর্তুগিজ ক্লাবটি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here