বাংলাদেশের নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়ার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে (৯ ডিসেম্বর) প্রতি বছর সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা নারীদের জন্য প্রদান করা হয় বেগম রোকেয়া পদক। এবার এই সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন জাতীয় নারী ফুটবল দলের তারকা ফুটবল খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা।
ঋতুপর্ণা চাকমা তার জন্ম রাঙামাটির পাহাড়ি এলাকায়। ব্যক্তিগতভাবে বহু চ্যালেঞ্জ পেরিয়ে তিনি দেশের ফুটবলকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পুরস্কারই সম্মান ও গৌরবের। এ বছরই একুশে পদক পেয়েছি, যা দলীয় হিসেবে গৌরবের। এবার ব্যক্তিগতভাবে রোকেয়া পদক পাওয়ায় এটি আমার কাছে আরও বিশেষ।’
ঋতুপর্ণা বলেন, ‘প্রতিটি খেলোয়াড় দেশের জন্য লড়ে। সব খেলোয়াড়ই কঠোর পরিশ্রম করে উঠে আসেন। এমন একজন বিশিষ্ট নারী নেত্রীর নামে এই পদক পাওয়ার পর আমার দেশ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা আরও বেড়েছে। এই পদক আমাকে আরও অনুপ্রাণিত করেছে, আমি দেশের জন্য আরও কিছু করার চেষ্টা করব।’
সরকার প্রতি বছরই বেগম রোকেয়া পদক প্রদান করে আসছে। ক্রীড়াঙ্গনের কোনো ক্রীড়াবিদকে আগে এই পদক দেওয়া হয়নি। গত বছর এই সম্মান পেয়েছিলেন কিংবদন্তি দাবাড়ু রাণী হামিদ। এবার ক্রীড়াঙ্গন থেকে ঋতুপর্ণা চাকমা এই পদক পেলেন।
ঋতুপর্ণা বলেন, ‘ক্রীড়াবিদরা দেশকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করে। একজন নারী ক্রীড়াবিদকে দেখে সমাজের আরও অনেকে খেলাধুলায় ও নানা কাজে অনুপ্রাণিত হন। আমার মতো আরও অনেক নারী ক্রীড়াবিদ রয়েছেন, যারা আগামীতে এই পদক পেলে তারা অনুপ্রাণিত হবেন।’

