ওবায়দুল কাদের ও ১৩ সচিবের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

0
ওবায়দুল কাদের ও ১৩ সচিবের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের নামে অধিগ্রহণ করে জমি বেআইনিভাবে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ফ্ল্যাট নির্মাণ ও দীর্ঘমেয়াদি লিজ প্রদানের অভিযোগে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও ১৩ সচিবের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সোমবার দুদক সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম বাদী হয়ে মামলা করেন। দুদক মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বিষয়টি জানিয়েছেন।

আসামিরা হলেন-সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সেতু বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সাবেক সচিব মো. নজরুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সাবেক সচিব কামাল উদ্দীন আহমদ, সাবেক বিদ্যুৎ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আব্দুল জলিল, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, সাবেক সিএএজি ও সোনালী ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী, সংসদ বিষয়ক বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সমন্বয়ক মিজ জুয়েনা আজিজ, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সাবেক সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আযম, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব আখতার হোসেন ভূঁইয়া এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সাবেক সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

২০১৮ সালে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে পিপিপি প্রকল্পে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য গেজেট অনুযায়ী ৪০ একর জমি অধিগ্রহণ করে। কিন্তু পরে গেজেটের উদ্দেশ্য অমান্য করে সেই জমিতে ক্ষতিগ্রস্তদের বদলে সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৯৯ বছরের লিজে আবাসন নির্মাণ করা হয় বলে অভিযোগ দুদকের।

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, আইন বহির্ভূত প্রকল্পটি গ্রহণ করে ব্যক্তিগতভাবে নিজের লাভবান হয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। এ ঘটনায় সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, আহমদ কাইকাউসসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

এদিন ঢাকা ১৬ আসনের সাবেক এমপি ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা দম্পতির বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। যেখানে তাদের বিরুদ্ধে সাড়ে ১৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ ও ১৮১ কোটি টাকার বেশি সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, তদন্তে সম্পদের পরিমাণ বাড়লে চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here