একসঙ্গে আইএলও-এর তিন কনভেনশন অনুসমর্থন করল বাংলাদেশ

0
একসঙ্গে আইএলও-এর তিন কনভেনশন অনুসমর্থন করল বাংলাদেশ

শ্রমিকদের অধিকার ও কর্মস্থলের নিরাপত্তা জোরদারে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) তিনটি কনভেনশন অনুসমর্থনকে ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইএলও বাংলাদেশ যৌথভাবে এ অনুসমর্থন উপলক্ষে একটি উদযাপন অনুষ্ঠান আয়োজন করে।

উদযাপন অনুষ্ঠানটি ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমি, স্টেট গেস্ট হাউস ‘সুগন্ধা’য় অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা বলেন, এ অর্জন শুধু আইনি মাইলফলক নয়—বিশ্বের কাছে একটি স্পষ্ট বার্তা যে শ্রমিকদের মর্যাদা, নিরাপত্তা ও অধিকার রক্ষায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি বলেন, এলডিসি উত্তরণের প্রস্তুতি সময়ে এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের নৈতিক ও টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করে।

তিনি জানান, তিনটি কনভেনশনের মধ্যে কনভেনশন নং ১৫৫ ও ১৮৭ আইএলওর মৌলিক কনভেনশন। এর সঙ্গে কনভেনশন নং ১৯০ অনুসমর্থনের মাধ্যমে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র দেশ হিসেবে আইএলওর সবগুলো (১০টি) মৌলিক কনভেনশন অনুস্বাক্ষরকারী দেশে পরিণত হয়েছে।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া বলেন, কনভেনশন বাস্তবায়নে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার তিন কনভেনশন অনুসমর্থনকে প্রশংসনীয় উল্লেখ করে বলেন, এটি আন্তর্জাতিক বাজার ও সহযোগিতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান আরও শক্ত করবে।

বাংলাদেশে আইএলওর কান্ট্রি ডিরেক্টর ম্যাক্স টুনোন এ সিদ্ধান্তকে ‘একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ বলে অভিহিত করেন।

উল্লেখ্য, গত ২২ অক্টোবর যমুনা স্টেট গেস্ট হাউসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপস্থিতিতে তিনটি কনভেনশনের অনুসমর্থনপত্রে স্বাক্ষর করেন শ্রম উপদেষ্টা। পরে ২১ নভেম্বর জেনেভায় আইএলওর ৩৫৫তম গভর্নিং বডি অধিবেশনে মহাপরিচালকের নিকট আনুষ্ঠানিকভাবে দলিল হস্তান্তর করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here