ভারতের বিমানবন্দরগুলোতে ইন্ডিগো এয়ারলাইনসের পরিচালনাগত ত্রুটিতে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন হাজারো যাত্রী। প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে অনেক যাত্রী মালপত্র হাতে পেতে চেষ্টা করছেন। খাবার–পানির কোনো ব্যবস্থা নেই, আর কাউন্টারগুলো ফাঁকা। ভারতের পাঁচ শতাধিক ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় দিল্লি, হায়দরাবাদ, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, গোয়া ও বিশাখাপত্তম বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল দৃশ্য দেখা দিয়েছে।
দিল্লি বিমানবন্দরে হাজার হাজার স্যুটকেস পড়ে আছে। বহু যাত্রী মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ ক্ষোভে ফেটে গিয়ে স্লোগান দিচ্ছেন। এক যাত্রী বলেন, ‘১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কোনো স্পষ্ট জবাব পাইনি। মালপত্রও হাতে নেই। এটা সবচেয়ে খারাপ বিমান সংস্থা।’
হায়দরাবাদ বিমানবন্দরে একই পরিস্থিতি। আটকা যাত্রীরা খাবার, পানি বা থাকার ব্যবস্থা না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। একটি এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইটও প্রতিবাদের কারণে আটকে গেছে। গোয়া বিমানবন্দরে হতাশা ও চিৎকারের দৃশ্য দেখা গেছে। চেন্নাই বিমানবন্দরে শত শত যাত্রী আটকা পড়েছেন। বিশাখাপত্তমে কমপক্ষে ৪৯টি বহির্গমন ও ৪৩টি ইনকামিং ফ্লাইট বাতিল হয়েছে।
ইন্ডিগোর চারদিন ধরে চলা এই সংকটের মূল কারণ নতুন নিয়ম অনুযায়ী ক্রু প্রয়োজনের ভুল অনুমান ও পরিকল্পনার ঘাটতি। শীতকালীন আবহাওয়া ও যানজটের সময় পর্যাপ্ত ক্রুর অভাব দেখা দিয়েছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, আগামী দুই থেকে তিন দিন পর্যন্ত ফ্লাইট বাতিলের সম্ভাবনা রয়েছে এবং ৮ ডিসেম্বর থেকে ফ্লাইট পরিচালনা কমিয়ে আরও বিঘ্ন এড়ানোর চেষ্টা করা হবে।
ইন্ডিগোর সিইও পিটার এলবার্স বলেছেন, ‘পরিচালনা স্বাভাবিক করা সহজ লক্ষ্য হবে না’। সংস্থা গ্রাহক ও স্টেকহোল্ডারদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং ক্ষতিগ্রস্তদের আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। তারা জানিয়েছেন, স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য নিরলস ও সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে।
সোর্স: রয়টার্স, এনডিটিভি

